ছবি: সংগৃহীত
রাত পোহালেই ঈদ। ঈদুল আযহা পালনে রাজধানী থেকে বাড়িতে ছুটছে সবাই। গত কয়েকদিন ভোগান্তি ছাড়াই ঘরমুখো মানুষ গন্তব্যে পৌঁছেছে। তবে স্বস্তির ঈদযাত্রায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। তারপরও ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় একটুও ভাটা পড়েনি। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন তল্পিতল্পা নিয়ে পথে নেমেছে। বৃষ্টির ভোগান্তির সঙ্গে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে।
ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সড়কে বেড়েছে যানবাহন। সেই সঙ্গে কোরবানির পশুবাহী গাড়ির প্রবেশ ও বের হওয়ায় রাজধানীর প্রবেশমুখ ও বের হওয়ার সড়কে তৈরি হওয়া জটলায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। যে কারণে বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। আর ফিরতে না পেরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়।
উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রীরা জানান, গাবতলী হয়ে চন্দ্রা পৌঁছাতেই ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। স্বাভাবিক সময়ে এ পথ যেতে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা সময় লাগলেও ঈদযাত্রায় লাগছে কয়েকগুণ বেশি। তাতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা। যানজটের এমন অবস্থা যে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছেন চালক ও হেলপার।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোর ৪টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থেকে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ঘারিন্দা পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে যোগ হওয়া বৃষ্টি ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
তবে নৌপথের যাত্রীরা বেশ স্বস্তি নিয়ে ঈদযাত্রায় সামিল হয়েছেন। মঙ্গলবার থেকেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। তবে আগের তুলনায় যাত্রী কম থাকায় লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ে ছাড়েনি। প্রায় সব লঞ্চই বেশি যাত্রী পাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরও টার্মিনাল ছাড়েনি।
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের কুয়াকাটা-২ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদ উপলক্ষে সব লঞ্চের কেবিন আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন ডেকের যাত্রীরাই মূলত আসবেন। তবে আশানুরূপ যাত্রী নেই। অনেক অফিস মঙ্গলবারও খোলা ছিল। অফিস শেষে যাত্রীরা রওনা হবেন। এ কারণে সন্ধ্যা থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে।
আরো পড়ুন: চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
ট্রেনে ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেলস্টেশনে গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। তবে টিকেটবিহীন যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার কড়াকড়ি থাকায় কোনো যাত্রী বাঁশের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বিনা টিকেটে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। যদিও এরই মধ্যে ফাঁকফোকর গলে এবং খিলগাঁও রেলক্রসিং দিয়ে অসংখ্য মানুষ ঢুকছে স্টেশন চত্বরে। এদের অধিকাংশই টিকেটবিহীন যাত্রী- যার ফলে ভেতরে টিকেটধারী যাত্রীরা মহাসমস্যায় পড়েছেন, তাদের ঘাড়ের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের চাপ। অনেকেই প্রয়োজনে ভিড় ঠেলে বাথরুমে না যেতে পারার অভিযোগ করেছেন।
এম/