শুক্রবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মাহফুজ-সারজিসরা গণ–অভ্যুত্থানের প্রকৃত নায়ক নন, যা বললেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম *** মানুষের শরীরে শূকরের যকৃৎ, চীনা চিকিৎসকদের সাফল্য *** দায়মুক্তি পাচ্ছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারার মামলার আসামিরা *** নোবেল না পেলে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী হবে—শঙ্কিত নরওয়ে *** অবশেষে গাজায় শান্তির আভাস, শান্তিচুক্তি সই *** সেফ এক্সিটকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি, বিব্রত কোনো কোনো উপদেষ্টা *** থেমেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী *** জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী—এটা খুশির খবর, কিন্তু তাদের দেখা যায় না: শারমীন মুরশিদ *** তহবিলসংকটের কারণে এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমাচ্ছে জাতিসংঘ *** খালেদা জিয়ার সেফ এক্সিটের দরকার পড়েনি: রিজভী

হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০১:০৬ অপরাহ্ন, ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ফাইল ছবি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ফলে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪ থেকে পাঁচ টাকা কমেছে। একদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৫২ থেকে ৫৭ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই নিত্যপণ্যের দাম কমায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ইন্দোর ও নাসিক এই দুই জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বন্দরে ইন্দোর বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে যা একদিন আগেও ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে যা একদিন আগে ৫৭ টাকা ছিল।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী বলেন, আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করি। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকায় দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু রবিবার বন্দর দিয়ে হঠাৎ পণ্যটি আমদানি কমে যাওয়ায় দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। সব ধরনের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা করে বেড়ে যায়। দাম বেড়ে ইন্দোর ৫২ ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৭ টাকায় উঠে যায়। একদিনের ব্যবধানে আজ আবারও দাম কমেছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। তবে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমায় সে দেশের বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। যার কারণে পণ্যটি রফতানি নিরুৎসাহিত করতে গত ১৯ আগস্ট ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে দেশটির সরকার। এতে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকার মতো বাড়তি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। যার কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সেই ৪০ ভাগ শুল্ক পরিশোধ করেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছেন আমদানিকারকরা।

তিনি আরও বলেন, রবিবার ভারতের হিলি কাস্টমসের সার্ভারে সমস্যার কারণে ট্রাক প্রবেশ করতে না পারায় পেঁয়াজের আমদানি অর্ধেকে নেমে যায়। এতে দাম কিছুটা বেড়েছিল। তবে সোমবার কাস্টমসের সার্ভারের সমস্যা সমাধান হওয়ায় রফতানি শুরু হওয়ায় আমদানি বাড়ে। এতে দাম আবারও কমে যায়।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, কোনোদিন আমদানি বাড়ছে তো আবার কোনোদিন কমে যাচ্ছে। বন্দর দিয়ে রবিবার যেখানে মাত্র ২০ ট্রাকে ৫৮৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। গতকাল সোমবার বন্দর দিয়ে আমদানির পরিমাণ বেড়ে ৩৪টি ট্রাকে এক হাজার ১৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

ওআ/

পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250