বুধবার, ৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকায় বিরল খনিজ পাঠাল পাকিস্তান *** বাংলাদেশে বাড়ছে পাকিস্তানি শিল্পীদের ব্যস্ততা *** একদিকে সংঘাত বন্ধের জন্য আলোচনা, অন্যদিকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল *** জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ *** মাদ্রাসা ক্রিকেট চালু করবে বিসিবি *** প্রথমবার ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট হলো বাংলাদেশ *** আওয়ামী লীগ ফিরে আসা মানেই অভ্যুত্থান মিথ্যা: সারজিস আলম *** রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক *** তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে কী কী প্রাপ্তি দেখছেন বিশ্লেষকেরা *** মৃত্যু ছাড়া কিছু উপদেষ্টার কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস

রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, ৮ই অক্টোবর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

গত অর্থবছরের (২০২৪–২৫) প্রথম ছয় মাসের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের বাংলাদেশের অর্থনীতি। জোরালো রপ্তানি আয়, ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বৃদ্ধি এতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। মঙ্গলবার (৭ই সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ব সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ নাজমুস সাদাত খান প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দেশজ প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৪ দশমিক ৮ শতাংশে এবং পরের অর্থবছরে তা বেড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও কর্মসংস্থানের সংকোচন, দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার বড় প্রতিবন্ধকতা হতে পারে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে বৈষম্য বাড়ার আশঙ্কা আছে।

‘বাংলাদেশ আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন বলছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে উন্নতির সম্ভাবনা থাকলেও দারিদ্র্য ও কর্মসংস্থানের সূচকে উদ্বেগের কারণ আছে। কারণ, জাতীয় দারিদ্র্যের হার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে ২১ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সময়ে কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাতও ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশে, আর বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা এখনো বেশ উচ্চপর্যায়ে রয়ে গেছে; আগস্টে এটি ছিল ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থান ঘাটতি, দুর্বল ব্যাংক খাত, খেলাপি ঋণ ও রাজস্ব আদায়ে দুর্বলতা বাংলাদেশে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ উদ্বেগ কর্মসংস্থান সংকটে। 

সংস্থাটির মতে, তরুণ ও নারীদের জন্য উৎপাদনমুখী খাতে কাজ না বাড়ালে সামাজিক বৈষম্য বাড়বে ও প্রবৃদ্ধি টেকসই হবে না। বর্তমানে ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ লাখ নারী।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রথম প্রান্তিকে বড় ধাক্কার কারণে পুরো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে নেমে এসেছিল। পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে বিনিয়োগ স্থবিরতা, উচ্চ সুদের হার ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে এবং মূলধনি পণ্যের আমদানি কমেছে; ফলে নতুন প্রকল্প ও মূলধনি ব্যয় স্থগিত হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250