বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পাকিস্তান’ শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২৯ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৩

#

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

‘পাকিস্তান’, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ ও ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ যুক্ত থাকা দেশের প্রচলিত আইনগুলোর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবীর আনা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ সোমবার (৮ মে) এ আদেশ দেন।

রুলে আইন অনুসারে দেশের প্রচলিত আইন থেকে পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দ বাদ দিয়ে সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়েছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. রবিউল আলম সৈকত। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আইনজীবী কামরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন: হাইকোর্টে আবারও জামিন চেয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নি

আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, স্বাধীনের পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডাপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট এ পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়। এরপর কিছু আইনে বাদ দেওয়া হয়। তবে এখনও অনেক আইনে শব্দগুলো রয়ে যায়। যেমন-দ্য ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স ১৯৬২, দ্যা ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রভিহিশন অ্যাক্ট ১৯৬২, দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩, দ্য পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এবং দ্য গভর্নমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য।

এসব শব্দ থাকাটা ১৯৭৩ সালের আইনের লঙ্ঘন বিধায় আইনজীবী মো. রবিউল আলম রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন। আর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ সব আইনের তালিকা করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন। আর ৬০ দিনের একটি তালিকা দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

এম এইচ ডি/
 

পাকিস্তান আইন আদালত হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট

খবরটি শেয়ার করুন