ফাইল ছবি
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রয়োজনীয় গতি আনতে ও ডলার সংকট মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোর প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। সরকারের বিদ্যমান নগদ সহায়তা ছাড়াও ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা হিসেবে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা পাবেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গত শুক্রবার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়।
রোববার (২২ অক্টোবর) থেকে নতুন এই প্রণোদনা কার্যকর হবে। বর্তমানে আন্তঃব্যাংক এক্সচেঞ্জ মার্কেটে ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে সরকার ২০১৯ সালে দুই শতাংশ প্রণোদনা চালু করে এবং পরে তা বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়। এখন ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব কোষাগার থেকে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দেবে।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহকে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেমিট্যান্স বাংলাদেশের জন্য ডলারের সবচেয়ে সহজ উৎস ও অর্থনীতির মূল স্তম্ভ। তবে সম্প্রতি রেকর্ড সংখ্যক কর্মী বিদেশে গেলেও গত সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪১ মাসের সর্বনিম্ন এক দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
গত বছর ১১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কাজের জন্য দেশ ছাড়েন। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার।
রেমিট্যান্স ছাড়া ডলারের ক্রয় মূল্য ১১০ টাকা ও বিক্রয় মূল্য ১১০ টাকা ৫০ পয়সা অপরিবর্তিত আছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা।
রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের তুলনায় আমদানি বিল বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে গেছে। ফলে গত দেড় বছর ধরে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েই চলেছে।