রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’ *** পুঁজিবাজার চাঙা করতে আইসিবিকে ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা *** অগ্নিনির্বাপণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, দাবি উপদেষ্টার *** নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকেরা *** দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ *** ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির পর ভারতকে পারমাণবিক বোমার ভয় দেখালেন আসিম মুনির *** এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে: হাসনাত আবদুল্লাহ *** দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি পেল বিএনপি, অপেক্ষায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স

সমুদ্রের নিচে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড়’ কবরস্থান

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:০৭ অপরাহ্ন, ২রা জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

পানির নিচে সারি সারি কঙ্কাল, জাহাজ! না কোনো জলদস্যুর কাহিনী বা গুপ্তধন রহস্যের উপন্যাস নয়। বাস্তবেই এমন স্থান রয়েছে সমুদ্রের নিচে। চাক দ্বীপপুঞ্জের কাছে সমুদ্রের তলদেশের সেই গায়ে কাঁটা দেওয়া দৃশ্যের ছবি দেখলে চমকে উঠবেন। ডুবে যাওয়া জাহাজের সেই ছবি দেখে অনেকেই বলছেন, এটিই বিশ্বে পানির নিচে থাকা সবচেয়ে বড় কবরস্থান।

জাহাজ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ

সমুদ্রতলের গহীন অন্ধকার। সাদা বালি। আর তাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানব কঙ্কাল, জাহাজ, বিমানের ধ্বংসাবশেষ। আপাতত সেই ধ্বংসাবশেষ একত্রিত করে নির্দিষ্ট একটি স্থানে রাখার কাজ চলছে। 

শুধু তাই নয়। সমুদ্রের গভীর তলদেশে নৌ জাহাজ, জাপানি ট্রাক এবং পুরনো ড্রাইভিং স্যুটও মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো ইতিহাসের ধ্বংসলীলার প্রমাণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার নানা ধ্বংসাবশেষ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থেকে গিয়েছে সমুদ্রের তলদেশে।


এর মধ্যে কিছু ধ্বংসাবশেষ ‘অপারেশন হেইলস্টোনে’র সময় ডুবে যাওয়া জাহাজ ও বিমানের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই অপারেশনই যুদ্ধে ৪ হাজার ৫০০ জাপানি সৈন্যের মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযানে শত শত বিমান ও ডজন খানেক জাহাজ ডুবে যায়। দুই দিনব্যাপী অপারেশন হেলস্টোন-এ ২৫০টি জাপানি বিমান ধ্বংস করা হয়। তাতে বিপুল সংখ্যক জাপানি সেনা নিহত হন।

এছাড়াও এই যুদ্ধে ৪০ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়। পানিতে যে ধ্বংসাবশেষ মেলে, তা যুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজ ও বিমানের। পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইনের উপকূলে এবং ইন্দোনেশিয়ার দিকেও সমুদ্রে এমনই ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে।

আরো পড়ুন: যে বাল্ব জ্বলছে ১২৩ বছর ধরে!

এছাড়াও পানির গভীরে পাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি ট্রাকের ধ্বংসাবশেষও রয়েছে। হকি মারু জাহাজের ধ্বংসাবশেষে এখনো গাড়ির টায়ার, হেডলাইট এবং ফ্রেমসহ অন্যান্য জিনিস মিলেছে। 


পানির নিচে পড়ে থাকা যুদ্ধবিমানের গায়ে আজ প্রবালের স্তর জমেছে। বিমানে আজ সামুদ্রিক প্রাণীদের বাসা।

ছবিতে মানুষের কঙ্কালও দেখা যাচ্ছে। চালকদের মধ্যে এই স্পটটি তাই বেশ জনপ্রিয়। 

তবে 'অভিশপ্ত' এই স্থান নিয়ে কুসংস্কারেরও অন্ত নেই। অনেকেই দাবি করেন, পানির গভীরে এই স্থানে আজও যুদ্ধে নিহত সেনাদের অতৃপ্ত আত্মা রয়ে গেছে।

সূত্র: দ্যা সান 

এইচআ/ আই. কে. জে/ 



কবরস্থান সমুদ্রতল চাক দ্বীপপুঞ্জ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250