শ্রদ্ধাভাজনেষু পিতা,
প্রিয় বাবা, চিঠির প্রথমে আমার সালাম নিও। বাবা, আমি তোমার স্নেহাশীষ কন্যা। তোমার মন বোঝার সাধ্য আমার নেই হয়তো, কিন্তু বার্ধক্যের ভারে হতাশা আর চিন্তাগ্রস্ত কালশিটে চোখের চাহনিতে বুঝতে পারি তুমি কেমন আছো।
তাই ভালো থাকার প্রত্যাশা নিয়ে কেমন আছো প্রশ্নকে আড়াল করলাম। খোলা জানালার পাশে বসে বৃষ্টির সুর আর আমার হৃদয়ের কান্নার সুর মিশ্রিত করেই তোমাকে লিখছি। অথচ তুমি টেরও পাওনি। তুমি আমায় সদা বলো,
যখন আমি থাকবো না
কখনো ফিরে আসবো না
মোর নামটি করবে স্মরণ
মোর কন্যা ফারজানা
সত্যিই বাবা, তুমি আমার জীবনের ভুবন রাঙানো হাসি। তোমার ভালোবাসায় আমি ভুলতে বসি সবই। তুমি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো। তোমার আঙুল ছুঁয়ে ফের মেঠোপথে হাঁটতে চাই। জানো বাবা, আজকাল আরেকটা স্বপ্ন বুনি- আমার অগোচরে আমার চুলে বেনুনি করে দিচ্ছো রোজ। সাথে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছো। কিন্তু তা আর হবার নয়, কারণ তোমার হাতটাকে যেন সচল করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে সৃষ্টির্কতা।
তবুও অবচেতন মন স্বপ্ন বুনেই চলছে। বাবা তোমার মেয়ে তোমার পৃথিবীকে রাঙাতে চেয়েও পারেনি। ক্ষমা করো বাবা। তবে আরেকটা বায়না সেই ছোট বেলা থেকেই রয়ে গেছে, কোথাও যাওয়ার আগে তুমি যেভাবে কপালে চুমু দিয়ে দিতে। তা সব সময় যেন থাকে বাবা।
বাবা, তুমি আমার ভালোবাসার পৃথিবী। পৃথিবীর যে কোনও পাল্লা বা বাটখারা দিয়ে মাপলেও তা কম হবে। ভালোবাসি বাবা।
-- তোমার কন্যা
ফারজানা
আরো পড়ুন: প্রিয় বাবা, তোমাকে একটি বারের মতো জড়িয়ে ধরতে চাই
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন