ছবি: সুখবর
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, পাহাড়ি-বাঙালি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত নিরসন এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও বদান্যতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে ২রা ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। তখন থেকেই পার্বত্যঞ্চলের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পাহাড়িদের সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো।
শনিবার (৩রা ফেব্রুয়ারি) রাতে খাগড়াছড়ি সদরে মারমা উন্নয়ন সংসদ সদর শাখা প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালে পার্বত্য অঞ্চলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। যে সমস্ত কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়েছে তা দ্রুত সমাপ্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আগে আরো সরকার এলো-গেলো, কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ তো করেইনি বরং পাহাড়ি জনমনে আতঙ্ক ও অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা চালিয়েছিল তারা। বিএনপি-জামাত পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের সমস্যা ও ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করার কোন উদ্যোগই নেয়নি, বরং তা দীর্ঘ সময় জিইয়ে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবে, দেশের শান্তির কথা ভাবে বলেই পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বহুলাংশে বন্ধ করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মনে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের যে স্রোতধারা বহমান রয়েছে তা আগামিতেও অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাসহ আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিনত করার লক্ষ্য নিয়ে সকলকে দেশের উন্নয়ন কাজ করার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শান্তিচুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের জোয়ার বইছে : পার্বত্যমন্ত্রী
মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী, মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী চাইথোঅং মারমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, মাউস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ম্র্যাগ্য চৌধুরী প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধনে নিবেদিত শিক্ষিকা মিসেস মল্লিকা ত্রিপুরা, মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাঁশরী মারমাসহ তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী ও সাংবাদিক চিংমেপ্রু।
অনুষ্ঠানে মারমা উন্নয়ন সংসদের পক্ষ থেকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এসকে/ এএম/
খাগড়াছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
খবরটি শেয়ার করুন