মঙ্গলবার, ২৭শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিত্ত চাঙ্গা করতে ছুটে চলা সেই গ্রামে

সাহিত্য প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

প্রিয় নির্মল,

আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা গ্রাহ্য করিও। অনেকদিন চিঠি প্রদান করিনি ভেবে অন্তরাত্মা মন্দ করার এক পসলাও প্রয়োজন নেই। আসলে ভ্রমণপ্রিয় মানবের যে কর্ম! চিত্ত চাঙ্গা করতে নিজের ছুটে চলা সেই গ্রামে। রথতোলা বামে করে প্রবেশ করি পিতামহের গৃহে। প্রফুল্ল অন্তর তখন প্রবেশ করেছে যে মনোরমে। “শান্তির অদৃশ্য আশ্রমে প্রবেশ যেন করলাম”- ঠিক অনুরূপই হৃদয়ে বিড়বিড় করলাম।

অরণ্যে ভরা, বৃক্ষ ও প্রাণিতে ভরা সে গ্রামটা হলো চরপাড়া। পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের এক গ্রাম। ঘনবসতি নেহাত কম নয়। সবাই গৃহপালিত প্রাণি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করে। কেউ আবার গ্রামের চিরপরিচিত দৃশ্য যা কৃষি নামে অভিহিত; সে কার্যও প্রভাত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মনঃসংযোগের মাধ্যমে সহজে সম্পাদন করে। গৃহিণীবৃন্দ গৃহের কার্য সম্পাদন করে যেন ক্ষীপ্র গতিতে। আবার গৃহপালিত পশুপাখি পরিচর্যায়ও রাখে অগ্রণী ভূমিকা। নসিমনের মতো অনুরূপ গাড়ি পাশ কাটিয়ে গেল। দেখলাম রাশি রাশি ধান্য শুধুই ঝুলছে আর দুলছে। 

সবাই জেলাটাকে পাগলা গারদের জেলা বলে সম্বোধন করলেও আমি অভিহিত করবো একে উন্নত জেলা হিসেবে। কারণ আমি কয়েকটি দিন জেলাটির বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করে পেয়েছিলাম সন্তোষজনক ফলাফল। গহনা, মিষ্টান্ন, দুগ্ধ, ধান্যতে আমি বলব বিখ্যাত এই বৃহত্তর পাবনা। এর বর্তমান অবস্থা একখণ্ড রাশিয়ার প্রদেশের অংশের মতো; শুধু শীতল পরিবেশ অনুপস্থিত। কারণ এ জেলা উত্তর-মধ্য বঙ্গে অবস্থান করছে। এ জেলার ঈশ্বরদীতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত বিদেশী শ্রমিকের মুখে বঙ্গের মাতৃভাষা শুনে আনন্দ পেয়েছিলাম। আর একমাত্র মানসিক হাসপাতাল তো এ জেলাতেই। এ জেলায় কবিও এসেছেন; জন্মেছেন এই সুন্দর ভূমিতে।

আজ আর নয়। তোমার পিতা-মাতাকে আমার সালাম জানিও। ছোট বোনকে স্নেহ করিও ও চিঠি লিখিও এবং পাঠিও। 

-- ইতি

তোমার বন্ধু 

মোজাম্মেল

গ্রীনরোড, ধানমন্ডি,

ঢাকা-১২০৫

আরও পড়ুন : নতুন প্রজন্মের কাছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি

একে/  আই.কে.জে



ভ্রমণ গ্রাম চাটমোহর পাবনা

খবরটি শেয়ার করুন