মঙ্গলবার, ২৭শে আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১১ই ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না'

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২৬ অপরাহ্ন, ১০ই জুন ২০২৩

#

সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউনিটং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বাংলা সিনেমার ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ এই ডায়ালগ উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রশ্নটি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং অ্যাকাউনিটং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ের অতিথি শিক্ষক মেহেদী হাসান সোহাগ। 

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনির’ বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়। হেজিমনি (আধিপত্য) বুঝানোর জন্য সিনেমার এই ডায়ালগ বেছে নেওয়াটা সঙ্গত নয়। এই শব্দগুলো সাধারণত মানুষ নেতিবাচক আলোচনায় বুঝায়। অন্য অনেক উদাহরণ ছিল যা দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেতো। তাছাড়া প্রশ্নপত্রে বাংলাভাষা ইংরেজি শব্দে উল্লেখ করা কতটা যৌক্তিক সেটিও বিবেচনার বিষয়।

আরো পড়ুন: শুভাশিস বিশ্বাস সাধন সারা দেশে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক-২০২৩ নির্বাচিত

সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, প্রসঙ্গ না বুঝে অনেকেই সমালোচনা করছেন। এই প্রশ্নে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে নেগেটিভ কিছু নেই। এটি কোড আনকোড। যাদেরকে পড়িয়েছি আমি সেখানে টেক্সট ডকুমেন্ট দেওয়া আছে। যারা হেজিমনি (আধিপত্য) পড়েছে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। হয়তোবা যারা জানে না তারা সমালোচনা করছে। বিট্রিশরা কীভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে তার সঙ্গে এই লাইনটি যথার্থ উদাহরণ। এখনো প্রত্যেক জায়গায় হেজিমনি (আধিপত্য) রয়েছে। এমনকি প্রশ্নপত্র নিয়ে যেটি হচ্ছে সেটিও হেজিমনির (আধিপত্যের) বহিঃপ্রকাশ।

অ্যাকাউনিটং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, কেন এমন শব্দ প্রশ্নপত্রে ব্যবহার করা হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা যিনি প্রশ্নটি করেছেন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ) তিনি বলতে পারবেন। আমি আশা করি তার সঙ্গে কথা বললে স্পষ্ট ব্যাখা পাওয়া যাবে। তারপরও এমন শব্দ ব্যবহারে আমি নিজেও বিব্রত বোধ করছি।

এসি/আইকেজে 


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নপত্র

খবরটি শেয়ার করুন