বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ সংহত করতে ৪ দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক *** লিটন দাস জয় উৎসর্গ করলেন নিহতদের স্মরণে *** সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ বাংলাদেশের *** বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার *** বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

হাসপাতাল থেকে ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন খালেদা জিয়া

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩২ অপরাহ্ন, ৭ই জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ৬ মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করছেন। গণমাধ্যমে চোখ রাখার পাশাপাশি ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অবগত হচ্ছেন।

সূত্র মতে, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন না। চিকিৎসক দলের সদস্য ও পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে হাসপাতালে তিনি দেখা করেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শের বাইের যাওয়ার সুযোগ নেই তার। দোয়া-দরুদ ও নামাজ পড়ছেন। এর মধ্যেই তিনি দেশের রাজনীতির সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম ২০২২ সালের ৯ই আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার রাতে আমি খোঁজ নিয়েছি। বাসায় নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই বলে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক ছাড়া তার কারো সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত কঠিন। তিনি টেলিভিশন দেখছেন, পত্রিকার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ রাখছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৭৯ বছর বয়স খালেদা জিয়ার। ২০১৮ সালে কারাবন্দির পর তার শারীরিক অসুস্থতা ও শারীরিক জটিলতা বেশ কয়েকবার বেড়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে ভুগছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার শারীরিক জটিলতা বেড়েছে। এজন্য তাকে অনতিবিলম্বে বিশ্বের অন্য কোনো দেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দিতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক, বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অনেকবার দাবি জানানো হয়েছে।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা না জানার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষও রয়েছেন ধোঁয়াশায়। তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লেই দেশে-বিদেশে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানও করা হয়।

গত বছরের অক্টোবরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং অবিলম্বে মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দোয়া মাহফিল, লিফলেট বিতরণ এবং মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করে বিএনপি। তাকে মুক্তি দিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার, অ্যামনেস্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন সময়ে আহ্বান জানানো হয়।

আরো পড়ুন: উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ভোটকেন্দ্রে: আইজিপি

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৭শে অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে বিশেষ অস্ত্রোপচার (টিপস) করা হয়। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। একটিতে রিং পরানো হয়।

২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় আদালত সাজা দিলে ওই দিনই খালেদা জিয়া কারাবন্দি হন। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসার ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। তিনি গুলশানের ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। 

খালেদা জিয়া ১৯৮২ সালের ৩রা জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন।

বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ই মে পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন।

এসি/ আই. কে. জে/ 

খালেদা জিয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন