ছবি: সংগৃহীত
আর মাত্র কিছুদিন, তারপরই উঠিয়ে রাখতে হবে সব গরম পোশাক। গুছিয়ে রাখার সময় সামান্য ভুলে নষ্ট হতে পারে শীত পোশাক। তাই জেনে নিন শীত শেষে গরম কাপড় তুলে রাখবেন যেভাবে-
কোট ও জ্যাকেট
মোটা সিনথেটিক কাপড়ের কোট বা লেদার জ্যাকেট আগামী বছরের জন্য রেখে দিতে চাইলে ঝুলিয়ে রাখার আগে ব্যাগে ভরে নিন। আশপাশে কয়েকটি ন্যাপথলিন বা নিমপাতা রাখুন। এতে পোকামাকড় থেকে পোশাক সুরক্ষিত থাকবে। ময়লা হলে কোট ও জ্যাকেট বাড়িতে ধোয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ, এগুলো প্রচুর পরিমাণ পানি শোষণ করে। একা হাতে ধোয়া শারীরিকভাবেও বেশ কষ্টসাধ্য। তাই সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ড্রাই ওয়াশে দেওয়া। ড্রাই ওয়াশে দেওয়ার সময় পোশাকের ময়লা জায়গাগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে দিন।
সোয়েটার ও মাফলার
ভারী ও মোটা সোয়েটার দীর্ঘ সময় হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখলে আকার নষ্ট হয়ে নিচের দিকে ঝুলে যেতে পারে। তাই সোয়েটার ঝুলিয়ে না রেখে ভাঁজ করে রাখুন। সোয়েটার থেকে সুতা উঠে এলে হাত দিয়ে টান দেবেন না। অনেক সময় হালকাভাবে সোয়েটারটি দুই দিকে টান দিলে সুতা ভেতরে ঢুকে যায়। এমনটি না হলে যতটুকু সুতা উঠে এসেছে, ততটুকু কেটে নিন।
এই সোয়েটারগুলো ওয়াশিং মেশিনে না ধোয়াই ভালো। তবে যদি ধুতেই হয়, তাহলে মৃদু স্পিন সাইকেল নির্বাচন করুন, যা সর্বোচ্চ ৫০০ আরএমপি পর্যন্ত হতে পারে। ধোয়া হলে পেঁচিয়ে, চিপে বা ঝেড়ে পানি বের করা থেকে বিরত থাকুন। এতে বিশেষ করে উলের সোয়েটারের আকার বা গড়ন নষ্ট হতে পারে। এর বদলে দুই হাতে চেপে চেপে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন। শুকানোর জন্য দড়িতে না ঝুলিয়ে সমতল স্থানে বিছিয়ে দিন। কড়া রোদ যেকোনো কাপড় বা সুতার রং ও ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে। তাই হালকা রোদে বা বাতাসে শুকিয়ে নিন। এতে শুকাতে সময় বেশি লাগলেও কাপড়ের ক্ষতি হবে না। হালকা ভেজা সোয়েটার উঠিয়ে রাখবেন না। পুরোপুরি শুকিয়ে নিন। এরপর যেকোনো বাতাসরোধী ব্যাগে ভরে তুলে রাখুন আগামী শীতের জন্য। এক ধরনের কাপড়ের সোয়েটার একসঙ্গে রাখতে চেষ্টা করুন। যেমন ভারীগুলো একসঙ্গে এবং পাতলাগুলো আলাদাভাবে অন্য একটি ব্যাগে রাখুন।
আরো পড়ুন : সবচেয়ে বেশি ফাইবার থাকে এই ৫ ফলে!
শাল ও চাদর
হালকা রঙের শাল ও চাদরের একটু বেশিই যত্ন করতে হয়। বিশেষ করে গুছিয়ে রাখার সময়। পশমি শালের সুতার নকশা যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তবে ময়লা হলে শাল ও চাদর নিজেই ধোয়া যায়। ধোয়ার জন্য শ্যাম্পু বা তরল সাবান ব্যবহার করুন। ঘষামাজার প্রয়োজন নেই। কিছু সময় ভিজিয়ে রাখলে এমনিই ময়লা উঠে যাবে। ধোয়ার পর রোদে শুকান। এরপর হালকা তাপে ইস্তিরি করুন। শাল ও চাদর সুবিধামতো ভাঁজ করেও রাখতে পারেন, আবার ঝুলিয়েও রাখতে পারেন।
ট্যাগের দিকে নজর দিন
সাধারণত যেকোনো পোশাক পরিষ্কার করার বা ধোয়ার সঠিক নির্দেশনাবলি পোশাকের গায়ে এঁটে দেওয়া ‘ট্যাগ’-এ লেখা থাকে। সব পোশাকে ট্যাগ না থাকলেও শীতের ভারী পোশাকগুলোর ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই নির্দেশনাবলির ট্যাগ জুড়ে দেওয়া হয়। তাই উলের সোয়েটার, কাশ্মীরি শাল কিংবা চামড়ার জ্যাকেট পরিষ্কার করার আগে সেগুলোর গায়ের ট্যাগের লেখা ভালোভাবে পড়ে নিন। পানি দিয়ে সরাসরি ধোয়ার কথা উল্লেখ করা না থাকলে, তা না করাই ভালো।
এস/ আই.কে.জে