ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ই জুন) লাখো হাজির পদচারণায় মুখরিত এ ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা, যাদের মধ্যে রয়েছেন বহু বাংলাদেশি হাজি। খবর বাসসের।
গত বুধবার (৪ঠা জুন) রাত থেকেই বিভিন্ন দেশের হাজিদের মতো বাংলাদেশের হাজিরাও আরাফাতে আসতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালেও অনেক বাংলাদেশি হাজি আরাফাতের ময়দানে পৌঁছেছেন। এ বছর বিশ্বের ২০০-এরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ হজযাত্রী হজ পালন করছেন। তাদের প্রত্যেকেই আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন।
ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, ৯ই জিলহজ সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্তের আগে কিছু সময় আরাফাতে অবস্থান করা হজযাত্রীদের জন্য ফরজ। এটি না করলে হজ পরিপূর্ণ হয় না।
বাসস জানায়, বাংলাদেশি হাজিদের সঙ্গে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত রয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক।
আরাফাতের ময়দানে হাজিরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া, পাপমুক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং নিজেদের সব আকুতি-মিনতি নিবেদন করছেন। এ স্থানে অবস্থান করা অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ।
সূর্যাস্তের পর হাজিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাতের ময়দান থেকে মুজদালিফার দিকে রওনা দেবেন। সেখানে এক আজান ও দুই ইকামতে হাজিরা মাগরিব ও এশার নামাজ এক সঙ্গে আদায় করবেন এবং খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন। মুজদালিফায় অবস্থান করা হাজিদের জন্য ‘ওয়াজিব’।
উল্লেখ্য, সৌদি সরকারের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ধূলিঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও সেইরূপ কিছু ঘটেনি। তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের হাজিরা সুন্দর ও সাবলীলভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন