ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার মোন্তাসেরুল আলম অনিন্দ্যকে (৩৩) আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় ক্যামেরার সামনে বলেন, মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন। পাশাপাশি তিনি হারুন ইজহার, ওসমান হাদি ও পিনাকী ভট্টাচার্যের কথা শোনার আহ্বান জানান।
গতকাল রোববার (১৭ই আগস্ট) দুপুরে মোন্তাসেরুল আলম ও তার দুই সহযোগী মো. রবিন (২৮) ও মো. ফয়সালকে (৩০) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ তোলা হয়। আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর সময় প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগমুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে তিনি ওই বক্তব্য দেন।
মোন্তাসেরুল আলম রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শফিউল আলম লাট্টুর ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আত্মীয়।
নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় বাড়ির পাশে ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন তিনি। গত শুক্রবার (১৫ই আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে গত শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত যৌথ বাহিনী ওই কোচিং সেন্টারে অভিযান চালায়।
অভিযানে দুই সহযোগীসহ মোন্তাসেরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, সামরিক মানের দুরবিন, জিপিএস, স্নাইপার স্কোপ, দেশীয় অস্ত্র, বিদেশি ধারালো ডেগার, উন্নতমানের ওয়াকিটকি সেট, টিজার গান, অব্যবহৃত সিম কার্ড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটার, দেশি-বিদেশি মদ ও নাইট্রোজেন কার্টিজ। উদ্ধার করা নাইট্রোজেন কার্টিজ বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
এর আগে ২০১৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে মোন্তাসেরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তবে পরে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সিদ্দিক বাদী হয়ে একই বছরের ডিসেম্বরে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করেন, যাতে মোন্তাসেরুল আসামি হলেও পরে তিনি সেখান থেকেও অব্যাহতি পান।
অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ড ও গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি শরিফুল ইসলাম ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। মোন্তাসেরুল ছিলেন তার সহপাঠী।
খবরটি শেয়ার করুন