সোমবার, ১৮ই আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হায়দরাবাদে বাংলাদেশি কিশোরী উদ্ধার, বেরিয়ে আসছে ভারত–বাংলাদেশ মানব পাচার চক্রের তথ্য *** হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন *** বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় রাখাইন সীমান্তে আরও ৫০ হাজার রোহিঙ্গা *** অধ্যাপক আবুল বারকাতের জামিনে মুক্তি চেয়ে ১২২ নাগরিকের বিবৃতি *** যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের প্রস্তাবের ‘পক্ষে’ ট্রাম্প *** অর্থ পাচার করে বিদেশে গড়ে তোলা ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান *** বাংলাদেশ যাতে মৌলবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়: তারেক রহমান *** আওয়ামী লীগের সরকারের বিষয়ে জুলাই সনদে দাবিটা অতিরঞ্জিত: ডেভিড বার্গম্যান *** সাড়ে ৫ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি *** পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার শর্তে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প পাস

হায়দরাবাদে বাংলাদেশি কিশোরী উদ্ধার, বেরিয়ে আসছে ভারত–বাংলাদেশ মানব পাচার চক্রের তথ্য

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে হায়দরাবাদে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় আন্তদেশীয় মানব পাচার চক্রের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।

হায়দরাবাদে বাংলাদেশি নারী উদ্ধারের চতুর্থ ঘটনা এটি। খাইরতাবাদ, চাদেরঘাট ও বান্দলাগুডার বিভিন্ন যৌনপল্লি থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করেছে। খবর তেলেঙ্গানা টুডের।

এই শহরের যৌনপল্লি থেকে বাংলাদেশি নারীদের উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। ২০০০-এর দশকের শুরু থেকেই সংঘবদ্ধ মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব যৌনপল্লিতে আটকে পড়া নারীদের উদ্ধার করছে পুলিশ। শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, উজবেকিস্তান, রাশিয়া, ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকেও নারীদের এনে যৌন পেশায় নামানো হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পাচারের ক্ষেত্রে, পাচারের শিকার নারীরা সীমান্তে এজেন্টদের সাহায্য নিয়ে স্থল বা নৌপথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। ভারত ও বাংলাদেশে থাকা পাচার চক্রের হোতাদের নেটওয়ার্ক খুবই শক্তিশালী। তারা দালাল ও অন্যদের অর্থের ব্যবস্থা করে।’

পাচারের শিকার নারীদের চাকরির প্রলোভন ও ভালো বেতনের আশ্বাস দেখিয়ে ভারতে নিয়ে আসা হয়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে চরম দারিদ্র্য রয়েছে। শিকার বা মাছ ধরার ছদ্মবেশে এজেন্টরা অসহায় নারী বা কিশোরীদের খুঁজে বের করে। এরপর তাদেরকে ভালো জীবিকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে আসতে প্ররোচিত করে। ভারতে আসার পর স্থানীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে তাদেরকে বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়।’

এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘দারিদ্র্যের কারণে বাংলাদেশ থেকে পুরুষ, নারী ও শিশুরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। ধরা না পড়া পর্যন্ত তারা নিজেদের বাঙালি পরিচয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।’

সেন্ট্রাল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড (সিএসডব্লিউবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে বাণিজ্যিক যৌনশোষণের শিকার হওয়া নারীদের মধ্যে ২ দশমিক ৭ শতাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে পাচার নারীদের কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাইসহ বিভিন্ন শহরে দালালদের কাছে বিক্রি করা হয়।

হায়দরাবাদে পাচার চক্রের হোতারা আত্তাপুর, বান্দলাগুডা, চিন্তালমেট, হিমায়াতসাগর রোড ও চম্পাপেটে সক্রিয়ভাবে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

ভারতে নারী পাচার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন