বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্বকে নিয়মিত হলুদ মাখা কি ঠিক?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদে রূপচর্চায় হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। ব্রণ, দাগছোপ, রোদে পোড়া দাগ তুলতে এই ভেষজের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে হলুদ বেশ উপকারী। কিন্তু নিয়মিত ত্বকে হলুদ মাখা কি ঠিক?

রূপচর্চায় এই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে কোনও ক্ষতি নেই। বরং, এতে উপকারই বেশি। কিন্তু সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে হলুদ ব্যবহার না করলে সমস্যায় পড়তে পারেন। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের জন্য উপকারী। কিন্তু একটু এদিক-ওদিক হলেই বিপদে পড়তে পারেন।

হলুদ ব্যবহারে ত্বকের সমস্যা এবং সমাধান

আজকাল বাজারে যেসব মসলা পাওয়া যায়, তার অর্ধেকের মধ্যে ভেজাল থাকে। হলুদের গুঁড়াতেও যদি ভেজাল মেশানো থাকে, তখন ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হলুদের গুঁড়া ব্যবহারের বদলে কাঁচা হলুদ বাটা ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন : প্রিন্সেস ডায়ানার রূপের রহস্য কী?

ত্বকে দীর্ঘক্ষণ হলুদের ফেসপ্যাক বা বাটা থাকলে, হলদেটে ছোপ পড়তে পারে। এই ছোপ তুলতে নাকানি-চোবানি খেতে হয় অনেকের। ফলে ত্বক উজ্জ্বল হওয়ার বদলে ফ্যাকাসে দেখায়। তাই ১০ মিনিটের বেশি মুখে হলুদের ফেসপ্যাক রাখবেন না।

সেনসিটিভ ত্বক হলে, তাতে হলুদ না মাখাই ভালো। এই ভেষজ ত্বকের প্রদাহ কমালেও সেনসিটিভ ত্বকে প্রদাহ বাড়াতে পারে। ত্বকে র‍্যাশ, অ্যালার্জি, চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এগুলো ত্বকের প্রদাহ ও লালচে ভাব কমায়। কিন্তু বেশি হলুদ ব্যবহার করলে, এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে নষ্ট করে দিতে পারে। এতে ত্বক ডিহাইড্রেট হয়ে যেতে পারে। আর আপনার ত্বক দেখাতে পারে শুষ্ক ও নিস্তেজ।

যদি ত্বকে এগজিমা, সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা থাকে, তবে হলুদ ব্যবহার না করাই ভালো। আবার আপনার ত্বক যদি সেনসিটিভ হয় বা ত্বকে কোনও সমস্যা থাকে, তবে হলুদ ব্যবহার করবেন না।

এস/ আই.কে.জে/

হলুদ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন