বুধবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ্য অ্যালার্জি নিরাময়ে আসছে একাধিক চিকিৎসা

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৫১ অপরাহ্ন, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন খাবারে মারাত্মক অ্যালার্জি সুস্থ মানুষকে মুহূর্তের মধ্যে অসুস্থ, এমনকি অচেতন করে দিতে পারে। অপ্রত্যাশিতভাবে অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে এমন কিছুর সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন।

তবে আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে। এ পদ্ধতিকে ‘ওরাল ইমিউনোথেরাপি’ বলা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুদের ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা এরই মধ্যে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অ্যালার্জির ঝুঁকি কমানো ও সম্ভাব্য নিরাময়ের লক্ষ্যে আসছে নতুন অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি, আর এ ওরাল ইমিউনোথেরাপি সেই নতুন পদ্ধতির এক নতুন অংশ।

আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক অ্যালার্জি ও ইমিউনোলজি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক রবার্ট উড দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘পনেরো বছর আগেও আমরা (অ্যালার্জির চিকিৎসা হিসেবে সংশ্লিষ্ট খাবার) সম্পূর্ণ পরিহার ও এপিনেফ্রিন (অ্যালার্জি প্রতিরোধী একধরনের হরমোন ওষুধ) সঙ্গে রাখার বাইরে অন্য কোনো বিকল্পের কথা ভাবতে পারতাম না। এখন আমাদের হাতে অনেক বিকল্প আছে।’

অ্যালার্জির চিকিৎসায় আগ্রহ বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ, এর ব্যাপকতা নজিরবিহীনভাবে বেড়ে যাওয়া। এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৯৯৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ব্রিটেনে খাদ্যজনিত অ্যানাফিল্যাক্সিসের (চুলকানির কারণ সৃষ্ট স্ফীতি) কারণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। 

কম গুরুতর অ্যালার্জিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুদের খাবার খাওয়ানোর পদ্ধতি, ডিটারজেন্টের ব্যবহার এবং শৈশবে মাটি ও পশুর সংস্পর্শে কম আসা।

চিকিৎসা হিসেবে অ্যালার্জেন তথা যেসব উপাদান অ্যালার্জি তৈরি করে, সেগুলোর সংস্পর্শের ধারণাটি নতুন নয়। ১৯০৮ সালে ‘দ্য ল্যানসেটে’ ডিমের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ১৩ বছর বয়সী এক বালকের ওপর ‘ওরাল ইমিউনোথেরাপির’ প্রথম সফল প্রয়োগের খবর প্রকাশিত হয়েছিল। 

তবে গত এক দশকে বিজ্ঞানীরা এ ধারণাকে ক্লিনিক পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্য ডোজের নির্দিষ্ট নিয়মাবলি তৈরি করেছেন। ফার্মাসিউটিক্যাল-গ্রেডের প্রোটিনভিত্তিক ওষুধ ‘প্যালফোরজিয়া’ অনুমোদন পাওয়ার ফলে এখন চরম অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদেরও এ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

এইচ.এস/

গবেষণা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন