সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ *** খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নেতানিয়াহু *** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ

বাজারে আসছে বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ, কমতে শুরু করেছে দাম

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে সব সময় ভারতনির্ভর বাংলাদেশ। ভারত কোনো কারণে রপ্তানি বন্ধ করলে কিংবা দেশে কোনো সংকট তৈরি হলেই বাড়ে পেঁয়াজের দাম। চলতি বছর ভরা মৌসুমেও দেশে পেঁয়াজের দাম ছিল চড়া। এখনো একশ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে খেতে হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের পদত্যাগের পর থেকে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড এবং মিশর থেকে দেশে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাজারে। দেশে ভোগ্যপণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বড় ব্যবসায়ীরা এলসি খোলা বন্ধ করে দিলে ছোট আমদানিকারকরা পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড এবং মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলেন। ৫ই আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পর পরই ওইসব দেশের পেঁয়াজের চালান চট্টগ্রাম বন্দরে চলে আসে। এরই মধ্যে বন্দর থেকে খালাস নিয়ে আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ বাজারে ছেড়েছেন। তাতেই কমতে শুরু করেছে দাম। খাতুনগঞ্জের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯২ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৫৫, মিশর থেকে আসা পেঁয়াজ ৭০ এবং পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশে ভোগ্যপণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই। এ বাজার থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ আশপাশের জেলা-উপজেলায় ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করা হয়। পাইকারি এ বাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে চট্টগ্রামজুড়ে। তবে বাড়লে যত দ্রুত প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ে, কমলে ধীরে ধীরে প্রভাব পড়ে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। আবার বিগত সময়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজের জোগানও রয়েছে। খাতুনগঞ্জের মেসার্স আবদুল মাবুদ সওদাগরের পরিচালক নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারত থেকে বৈধ উপায়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। এখন পাকিস্তান, মিশর, চায়না থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। যে কারণে এখন বাজারে সংকট নেই। দামও কমছে। অন্তত আগামী দুই মাস বাজারে পেঁয়াজের সংকট হবে না।

তিনি বলেন, ‘খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯২ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৫৫, মিশর থেকে আসা পেঁয়াজ ৭০ এবং পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

খাতুনগঞ্জের আরেক ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব বলেন, ‘চলতি মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হয়েছে। তারপরেও ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো বাজারে আছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি পাকিস্তানি পেঁয়াজ বেশি চলছে।’

তিনি বলেন, ‘আগে অনেক বড় ব্যবসায়ীর জন্য ছোট আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারতেন না। গত মাসে ছোট অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছেন। এলসির এসব পেঁয়াজ চলে আসায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমছে।’

আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের ৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত

এসি/ আই.কে.জে

দাম পেঁয়াজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন