ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে তুমুল সমালোচিত কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে ক’দিন আগে। বিসিবির হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্টের প্রধান হয়ে বিসিবিতে এসেছেন টনি হেমিং। গত পরশু মঙ্গলবার (১২ই আগস্ট) মিরপুরে এসে ঘুরে ঘুরে উইকেটগুলো দেখেন হেমিং। উইকেটের পাশে পুঁইশাকের বাগান দেখে হতভম্ব হয়ে যান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘গ্রাউন্ডসে এখন এত কাজ হচ্ছে, গামিনির (ডি সিলভার) ব্যাপারে এত দিন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন (উইকেটের পাশে) পুঁইশাক বের হচ্ছে! এসব এত বছরে বের হয়নি কেন? সব এক এক করে ধরা হচ্ছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘গ্রাউন্ডসের কথা যদি বলি, ইনডোরগুলো রেডি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বিভাগে কাজ হচ্ছে। একটা বায়োমেকানিকস ল্যাব করার চেষ্টা চলছে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার সায়মন টফেল পেয়েছেন পাঁচবার। সেই টফেল এবার আসছেন বিসিবিতে। আইসিসির বর্ষসেরা এই আম্পায়ারের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে কিনা, সেই প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, ‘তার (সায়মন টফেল) চুক্তির ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, আমাদের কী আছে, কী নেই। তাকে আমরা কী কাজে লাগাতে পারি। আর আমাদের এই বিনিয়োগে কী লাভ হবে। দিন, মাসের হিসাব করে তাকে আমরা একটা ভালো ডিসকাউন্টে রাজি করিয়েছি। এটা খুব দরকার ছিল।’
বছরের পর বছর ধরে চলা বিসিবির নানা অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বুলবুল। বিসিবির সভাপতি বলেন, ‘এত বছরে একটা বোর্ডের ঠিকঠাক অর্গানোগ্রামে চলেনি, সেটি নিয়ে আপনারা কেউ কি প্রশ্ন তুলেছেন? শুধু জিজ্ঞেস করছি। আগের একজন সভাপতি মিরপুর থেকে বিকেএসপি কিংবা ফতুল্লায় গেলেও হেলিকপ্টারে গেছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটে গেলে পুরো বিমান ভাড়া করা হয়েছে। তখন এসব নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেননি কেন? আমার পেছনেও বিসিবির খরচ হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে অফিসে চা খেলাম, লাঞ্চ করলাম—এসবে যতটুকু খরচ হয়, হচ্ছে। তবে আমার জন্য বিসিবিতে কোনো স্পেশাল চা তৈরি হয় না। সবার জন্য যা, আমার জন্যও তা।’
খবরটি শেয়ার করুন