সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
গত ৬ই মে রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গেছেন দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বছর অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় কিশোরগঞ্জে একটি মামলার আসামি তিনি। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর সরকার তার বিদেশ গমন নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এমন প্রেক্ষিতে আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন বলে দাবি করেছেন তার ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রিয়াদ লিখেছেন, ‘৮২-৮৩ বৎসরের একজন বয়স্ক লোক, অসুস্থতার কারণে তিনি এখন দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না, দুই ঘণ্টা বসে থাকতে পারছেন না, বাধ্য হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। ওজন কমতে কমতে এখন তিনি ৫৪ কেজি। যে কারণে নিজে কোনো প্যান্ট পরতে পারছেন না, বাধ্য হয়েই লুঙ্গি পড়ে থাকতে হচ্ছে। তাকে বেটার চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বোর্ড করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি রাজনীতির সাথে ‘জড়িত নন’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রকাশ্যে বলেছেন যে, তিনি আর পলিটিক্সের সঙ্গে জড়িত হবেন না এবং তারপর পলিটিক্সের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত হননি। আবার, যেখানে শত শত লোক বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে নিয়মিত থাইল্যান্ড যাচ্ছেন, সেখানে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য তিনি আসতেই পারেন।’
এ ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘সকলেই দোয়া করবেন যেন, তিনি সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসতে পারেন, ইনশাআল্লাহ।’
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন