সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ওএমএসে আলু বিক্রি করতে চায় সরকার *** ১০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: আলী রীয়াজ *** জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা থাকছে না *** কুমিল্লা বোর্ডে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১২ই আগস্ট *** এবার তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ডিসিদের চিঠি *** ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ *** খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নেতানিয়াহু *** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব

দুর্নীতিবাজ সাহেবরা এখন জড়ো হচ্ছেন বেগমপাড়ায়

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১৯ অপরাহ্ন, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

কানাডার প্রধান নগরী টরন্টোর ‘বেগমপাড়া’ সাধারণ বাংলাদেশি জনগণের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করা টাকায় গড়ে তোলা প্রাসাদসম বাড়ির একটি পাড়া হিসেবে এর পরিচিতি। অনেকেই শুনে অবাক হবেন, বেগমপাড়া বলে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান টরন্টো বা তার আশপাশের শহরগুলোর কোথাও নেই। এই ‘বেগমপাড়া’ শব্দটি একজন ভারতীয় প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতার একটি চলচ্চিত্র ‘বেগমপুরা’ থেকে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

কিন্তু বাংলাদেশের অসংখ্য রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী আমলা, ক্ষমতার শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে এখন লাপাত্তা। নানা অনিয়মের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুট করে বিলাসী জীবনযাপন করছে কানাডার বেগমপাড়াসহ দুবাই, মালয়েশিয়ায়-সিঙ্গাপুরে।

আর এসব টাকা লোপাট করে বউ-বাচ্চাদের বেগমপাড়া কিংবা সেকেন্ড হোমে বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পাঠাতেন। বেগমপাড়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বিদেশে ‘অবৈধ স্বর্গ’ বানানোর প্রতীক। বেগমপাড়ার বেগম সাহেবাদের জন্য কারও কোনো সমবেদনা জাগে না। কারণ, তারা স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অর্থ পাচারের সক্রিয় সহযোগী হিসেবে। এদিকে গত ৫ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন অনেকে বেগমদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর রীতিমতো কানাডার ‘বেগমপাড়া’ কিংবা সেকেন্ড হোমে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া রাজনীতিবিদ, আমলা আর ব্যবসায়ীর ভিড় বেড়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, মামলা, জেল-জরিমানা আর শাস্তির ভয়ে তারা বিভিন্ন উপায়ে ওই সব উন্নত দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। তবে সরকার এদের পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা এরই মধ্যে অন্তত পাচারের এক লাখ কোটি টাকা ফেরাতে টাস্কফোর্স গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন। খুব শিগগিরই দৃশ্যমান হবে অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়া।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে একটি নীতিমালা আছে। এই নীতিমালার আলোকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, দুদক, এনবিআর, সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যেসব দেশে পাচার হয়েছে সে দেশগুলো চিহ্নিত করে চুক্তি করার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনা সম্ভব।

আই.কে.জে/

বেগমপাড়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন