কিন্তু বাংলাদেশের অসংখ্য রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী আমলা, ক্ষমতার শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে এখন লাপাত্তা। নানা অনিয়মের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুট করে বিলাসী জীবনযাপন করছে কানাডার বেগমপাড়াসহ দুবাই, মালয়েশিয়ায়-সিঙ্গাপুরে।
আর এসব টাকা লোপাট করে বউ-বাচ্চাদের বেগমপাড়া কিংবা সেকেন্ড হোমে বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পাঠাতেন। বেগমপাড়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বিদেশে ‘অবৈধ স্বর্গ’ বানানোর প্রতীক। বেগমপাড়ার বেগম সাহেবাদের জন্য কারও কোনো সমবেদনা জাগে না। কারণ, তারা স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অর্থ পাচারের সক্রিয় সহযোগী হিসেবে। এদিকে গত ৫ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন অনেকে বেগমদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর রীতিমতো কানাডার ‘বেগমপাড়া’ কিংবা সেকেন্ড হোমে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া রাজনীতিবিদ, আমলা আর ব্যবসায়ীর ভিড় বেড়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, মামলা, জেল-জরিমানা আর শাস্তির ভয়ে তারা বিভিন্ন উপায়ে ওই সব উন্নত দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। তবে সরকার এদের পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা এরই মধ্যে অন্তত পাচারের এক লাখ কোটি টাকা ফেরাতে টাস্কফোর্স গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন। খুব শিগগিরই দৃশ্যমান হবে অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়া।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে একটি নীতিমালা আছে। এই নীতিমালার আলোকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, দুদক, এনবিআর, সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যেসব দেশে পাচার হয়েছে সে দেশগুলো চিহ্নিত করে চুক্তি করার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনা সম্ভব।
আই.কে.জে/