মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা *** জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা মুলতবি

ইলিশ এখন রাজনীতি ও কূটনীতির হাতিয়ার

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০১:৩১ অপরাহ্ন, ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি - সংগৃহীত

ইলিশকে বলা হয় মাছের রাজা। এ জন্যই ইলিশ নিয়ে মানুষের কৌতূহল একটু বেশি। সাধারণ মানুষ থেকে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিরাও ইলিশ নিয়ে চর্চা করেন। ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চায়ের আড্ডা থেকে রাজনীতির অন্দর মহল পর্যন্ত সর্বত্র আলোচনা তুঙ্গে। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো পক্ষ-বিপক্ষ, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে মশগুল। ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে দুই দেশের মূলধারার গণমাধ্যমেও অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বাদ যায়নি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও। লন্ডনের বিখ্যাত সাময়িকী ইকোনমিস্ট ‘ইলিশ এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শিরোনামে মূল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইলিশ এখন খাবার টেবিল ছেড়ে রাজনীতি আর কূটনীতির হাতিয়ার।

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিগত পাঁচ বছর ধরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয়। কিন্তু এ বছর আলোচনার আগুনে ঘি ঢালেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা। তিনি বলেছিলেন,‘এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হবে না। ইলিশ একটি দামি মাছ, রপ্তানি করলে দেশে আরো দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠবে। এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ও দুর্গাপূজা পালন করবে।’ এ কথা বলার পর দু-দেশেই হইহই রইরই শুরু হয়ে যায়। যে যার মতো ব্যাখ্যা দিতে থাকে। অবশেষে গত শনিবার ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করে। বলা হয়, রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হলো।

ইলিশ রপ্তানি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। ইলিশ রপ্তানিতে বাণিজ্যিক সুবিধা আছে। ফরেন কারেন্সি আসে। ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে বাহবা পেয়েছি। রপ্তানিতেও গ্রেটার ইন্টারেস্ট আছে। অনেক ভেবে-চিন্তে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইমোশনাল কথা বলে লাভ নেই। যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে তা চাঁদপুর ঘাটের একদিনের ইলিশও না।

বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্যপণ্য রপ্তানিকারক সমিতির তথ্যমতে, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার কথার সত্যতা পাওয়া যায়। দেশে বছরে পাঁচ লাখ টনের বেশি ইলিশ উৎপাদিত হয়। চলতি বছর উৎপাদিত হয়েছে পাঁচ লাখ ত্রিশ হাজার টন। আর রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে মাত্র তিন হাজার টন। যা মোট উৎপাদনের মাত্র দশমিক শূন্য শূন্য ছাপান্ন শতাংশ। উপদেষ্টার ভাষায়, যা চাঁদপুর ঘাটের একদিনের সমান নয়।

অন্যদিকে এই মাছ ভারতে বিনে পয়সায় রপ্তানি করা হচ্ছে না। আগেও হয়নি। ইলিশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। যা প্রায় তিন কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকার সমান। বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রতিবছর রুই, কাতলা, পোয়া, লইট্টা, কাঁচকি, পোয়া, শুটকি আমদানি করে। এসব মাছের আমদানি খরচ ইলিশ রপ্তানির আয়ের সমান। এক্ষেত্রে আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য বজায় রাখা হয়। দেশ চালাতে সরকারকে হিসাব-নিকাশ করতে হয়। উপদেষ্টার ভাষায় ‘ইমোশনাল’ কথা বলে লাভ নেই।

আই.কে.জে/

ইলিশ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন