ফাইল ছবি
রাজনীতিতে নতুন করে আশাবাদ তৈরি করতে হলে এ মুহূর্তে যারা সমাজবিপ্লবে বিশ্বাস করে, তাদের একটা যুক্তফ্রন্ট দরকার বলে মন্তব্য করেছেন লেখক–অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃত্বে সব বামপন্থীকে নিয়ে এ কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (৩১শে অক্টোবর) সিপিবির উদ্যোগে রাজধানীর বিএমএ ভবনে আয়োজিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশনে এ কথা বলেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ মুহূর্তে জরুরি, যারা বিপ্লবে বিশ্বাস করে, তাদের যুক্তফ্রন্ট গঠন করা। ১৯৫৪ সালে আমরা একটা যুক্তফ্রন্ট দেখেছি। কমিউনিস্ট পার্টি সেই যুক্তফ্রন্ট গঠনে সবচেয়ে বড় উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সে যুক্তফ্রন্ট এমন একটি যুক্তফ্রন্ট ছিল যার মধ্য দিয়ে নেজামী ইসলামী পার্টির উদ্ভব হলো এবং তারা শর্ত দিল যে যুক্তফ্রন্টে কমিউনিস্ট পার্টিকে নেওয়া যাবে না।’
আজকের বিবেচনায় সে যুক্তফ্রন্ট গঠনকে ভুল আখ্যা দিয়ে প্রবীণ এ অধ্যাপক বলেন, ‘আজকে পেছনে ফিরে তাকালে বোঝা যায়, ওই যুক্তফ্রন্ট একটা ভুল যুক্তফ্রন্ট ছিল। এখন যে যুক্তফ্রন্ট হবে, সেটা হবে সমাজবিপ্লবীদের যুক্তফ্রন্ট। কোনো একটা দল একাকী এটা পারবে না। সব বামপন্থী দলকে, যারা সমাজবিপ্লবে বিশ্বাস করে, তাদের একসঙ্গে কাজটি করতে হবে।’
এ কাজে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিকে নেতৃত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কারণ, তারাই সবচেয়ে বড় সংগঠন। সবচেয়ে সুসংগঠিত সংগঠন। এ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেবে। তারা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। কিন্তু জনগণ জানবে, তাদের অন্তত একটা দাঁড়াবার জায়গা আছে।’
সম্প্রতি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। সেখানে চরম দক্ষিণপন্থীরা নির্বাচিত হয়ে এসেছে। তার কারণ, ছাত্রদের সামনে কোনো বিকল্প তুলে ধরা হয়নি। যারা বুর্জোয়া রাজনীতি করে, ছাত্ররা তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরাজনীতিকরণ হয়েছে।
যারা জয়ী হচ্ছে, তারা নানা ধরনের দাতব্য কাজের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে টানছে মন্তব্য করে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ছাত্ররা বিকল্প খুঁজছেন, কিন্তু বিকল্প পাচ্ছেন না। বিকল্পের অভাবে ছদ্মবেশী প্রতিক্রিয়াশীলেরা সেবার নাম করে মানুষের কাছে গেছে। রাজনৈতিক পরিচয়ে তারা মানুষের কাছে যায়নি। নানা রকম দাতব্য কাজ করে তারা জনপ্রিয় হয়েছে এবং জয়ী হয়েছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন