ছবি: সংগৃহীত
শতাধিক পণ্য ও সেবায় হঠাৎ শুল্ক, কর, ভ্যাট বৃদ্ধি করে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি অধ্যাদেশ জারির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটির শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে পুরোপুরি উদাসীন।’
নেতৃদ্বয় শুল্কবৃদ্ধির দুটি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘শুল্ক-কর বৃদ্ধি এবং টিসিবির ট্রাক সেল কর্মসূচি বন্ধ, স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় নীতির অদূরদর্শিতা এবং অসামঞ্জস্যের প্রতিফলন। প্রথম সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শতাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক-কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
রোববার (১২ই জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, ‘মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির অধ্যাদেশ জারির ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসার খরচ বৃদ্ধি পাবে, যা সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য করের আওতা বাড়াবে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যাতে না নামে ও তাদের ভোগান্তি যাতে বৃদ্ধি না পায়।’
আরও পড়ুন: ‘শহরের নিরাপদ খাদ্য ও নির্মল বাতাসের জন্য ছাদ বাগান জরুরি’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, বর্তমান সরকার কর আয় বৃদ্ধির জন্য পরোক্ষ করের ওপর অতিমাত্রার নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। পরোক্ষ কর সাধারণত সাধারণ জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।’
এসি/ আই.কে.জে/