সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ *** খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নেতানিয়াহু *** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ

মজুতের পচন ধরা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, ৩০শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

শীঘ্রই দেশে ঢুকবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ। পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে সরবরাহ। এমতাবস্থায় অল্প কয়দিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমেছে দাম। এরইমধ্যে অধিক লাভের আশায় মজুত করা পেঁয়াজ গুদামে পচতে শুরু করেছে। সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। 

জানা যায়, দুই-তিন সপ্তাহ আগেও সুনামগঞ্জের বাজারে পেঁয়াজের দর ছিল আকাশছোঁয়া। তবে বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং আমদানির খবরে বছরজুড়ে উঠতে থাকা নিত্যপণ্যটির এবার পতন শুরু হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীর মজুত করা পেঁয়াজে পচন ঠেকাতে রোদে শুকিয়ে প্রাণপন চেষ্টা চলছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। অধিক লাভের আশায় ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ নিজস্ব গুদামে মজুত করেন। এরমধ্যে প্রায় ৫০ বস্তা পেঁয়াজ বাড়তি দামে বিক্রিও করেন। তবে বাকি পেঁয়াজে পচন ধরেছে।

তিনি বলেন, ৭০-৭৫ টাকা কেজিপ্রতি কিনেছি। এখন বাজারে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আমাকেও বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে নষ্ট পেঁয়াজগুলো ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী হান্নান মিয়া বলেন, বেশি লাভের আশায় গুদামে পেঁয়াজ মজুত করেছিলাম, কিন্তু এখন বাজারে পেঁয়াজের কদর নেই। সেইসঙ্গে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লোকশান গুণতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বলা যায় বেশি লাভ করতে গিয়ে উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন টাকা

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তিতে আছেন তারা। মজুতদারি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তাদের।

ক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজের কদর নেই। যারা পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছিল তাদের পেঁয়াজ এখন পচে নষ্ট হচ্ছে। সেই পচা পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে তারা।

অবৈধ মজুত ঠেকাতে বরাবরই সচেষ্ট আছেন বলে জানান ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আল আমিন। তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের প্রভাব পড়েছে। যে কারণে পেঁয়াজসহ আরও অনেক পণ্যের দাম কমেছে। যদি কেউ অবৈধ মজুত করে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

রমজান মাসের শুরুতে সুনামগঞ্জের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। যা এখন কমে এসেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

এসকে/আই.কে.জে

ভারতীয় পেঁয়াজ পচন ধরা পেঁয়াজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন