বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত ইরান, পরমাণু কর্মসূচি চলবে: পেজেশকিয়ান *** নির্বাচন কমিশন গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে একমত হয়েছে সবাই: আলী রীয়াজ *** পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে সেরা দশে মোস্তাফিজ *** মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব: গণমাধ্যম তদন্ত করলে সহযোগিতা করবে আইএসপিআর *** এশিয়ার সেরা নির্মাতার পুরস্কার পাচ্ছেন ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি *** স্বেচ্ছায় পদত্যাগের অভিপ্রায় নেই, নিয়োগকর্তা বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা *** গাজায় যুদ্ধাপরাধ, দুই ইসরায়েলি সেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল বেলজিয়াম *** আজ ১০টি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা *** এইচএসসির স্থগিত ২২শে ও ২৪শে জুলাইয়ের পরীক্ষা একই দিনে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পদে ১৭,৩০০ কর্মী নিয়োগ দেবে এমিরেটস

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশী পণ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৫১ অপরাহ্ন, ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য প্রবেশে শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। উচ্চ শুল্কারোপের পথে হাঁটছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যম্প। চীনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিতে দিতে হবে বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক। কানাডা ও মেক্সিকোর ক্ষেত্রেও বাড়তি শুল্কারোপের ঘোষণা এসেছে। তবে শেষ পর্যন্ত তা এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

এমন টালমাটাল অবস্থায় বাংলাদেশ কতটা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে? বলা হচ্ছে, মার্কিন মুলুকে চীনের কর্তৃত্ব কমলে বাড়বে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা। কিন্তু উৎপাদনে বাড়াতে হবে সক্ষমতা।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শুল্ক আরও বেড়ে যাবে, তখন কিন্তু মার্কিন ক্রেতারা চীন থেকে আমদানি কমিয়ে দেবে। যেখানে চীন বর্তমানে আমেরিকায় রফতানিতে প্রথম স্থানে রয়েছে। আমদানি কমে গেলে গ্যাপ তৈরি হবে, তা পূরণ করবে কে? কেউ নাই তো। বাংলাদেশ সেখানে কিন্তু অন্যতম প্রতিযোগী দেশ।

তবে প্রতিযোগিতা করেই ধরে রাখতে হবে অবস্থান। এক্ষেত্রে সামনে দাঁড়াবে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশ। সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

মোহাম্মদ হাতেম বললেন, আমাদের যতগুলো প্রতিযোগী-প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের চেয়ে কিন্তু আমরা একটা বড় ধরনের ডিসঅ্যাডভান্টেজ সিচুয়েশনে রয়েছি। যেমন গভীর সমুদ্র বন্দর না থাকায় রফতানিতে সময় বেশি লাগে। বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যে টালমাটাল অবস্থায় দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। কমে যেতে পারে পণ্যের চাহিদা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চীনের রফতানির শতকরা ৮০ শতাংশ হলো হলো নন-কটন। ২০ শতাংশ হলো কটন পণ্য। আমাদের প্রায় পুরোটাই তো কটন। সুতরাং সেখানে চীনের সাথে আমাদের যেসব পণ্যের ওভারল্যাপ হবে, শুধু সেখানেই কিছুটা হয়তো অতিরিক্ত সুবিধা পাবো। 

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গড়ে আড়াইশ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। আর চীন থেকে বছরে গড়ে আমদানির পরিমাণ দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য।

আই.কে.জে/

বাংলাদেশী পণ্য

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন