ছবি: সংগৃহীত
উচ্চ জনসংখ্যা কখনোই ভারতসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে না, যদি না এই মানুষদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে না তুলা হয়। তাই উচ্চ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষা ও অবকাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে বলে মুডি'স ইনভেস্টর সার্ভিসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়।
দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য এই জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে হবে বলে জানায় প্রতিবেদনটি।
যদিও প্রতিবেদনে ভারত ও ফিলিপাইনের প্রশংসা করা হয়েছে, তবে শিক্ষা ও শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের জন্য আরো কাজ করা দরকার। চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য সমকক্ষদের তুলনায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ব্যবধান রয়েছে, যা শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের ভারসাম্যহীনতায়ও অবদান রাখে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ছয়টি বৃহৎ অর্থনীতি আগামী দুই দশকে বিশ্ব জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং বিশ্বব্যাপী শ্রমশক্তি নির্মাণেও অংশ নিবে।
জাতিসংঘের মতে, ভারত এই বছর চীনকে অতিক্রম করে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে এবং এর জনসংখ্যা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছতে আরও ৪০ বছর সময় লাগবে। ২০৬৩ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১৬.৯৭ কোটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থাৎ ভারত যদি লিঙ্গ বৈষম্য রোধের দিকে মনোযোগ দেয় তবে দেশটি অর্থনৈতিক লাভের সুযোগ আরো বৃদ্ধি করতে পারে।
আর.এইচ