ছবি-প্রতিকী
ভেতর শূন্য
——শুভাশীষ কুমার চ্যাটার্জি
এমন আঁধার নামছে পাশে
পাখির কণ্ঠ ধরা
বুদ্ধিজীবীর প্রতিবাদ নেই
দলের দালাল মরা।
সংগীত যারা নেয় না মেনে
কবিতা শুনলে রাগে
চারণ কবির রক্তে আগুন
ভোরের সূর্য জাগে।
কথা যেখানে যায় না বলা
চিত্তে জাগে ভয়
নিজের স্বার্থ ঠিক রেখে দেখি
সবাই মামার জয়।
দুর্বল যারা যখন কাঁদে কিম্বা সংখ্যালঘু
তখনো দেখি শুশীল সাহেব
কণ্ঠ নিবু নিবু।
গানের যারা কণ্ঠ চাপে
কবিতার কান মলে
তারা কি কখনো তারাভরা রাতে
মিলনের কথা বলে?
আর তবে যদি পাখিরা না গায়
চারণ কবি না লেখে
ফোকলা দাঁতের প্রথম শিশুটি
মুখ রেখে দেবে ঢেকে।
ফসল কাটার উৎসবে দেখি
চারণ কবির গান
সংগীত যেন ধুয়েমুছে দেয়
জমা থাকা অভিমান।
কবিতা আমায় মাফ করে দেয়
আবেগীয় ক্ষত যত
জীবন যাতনা ছাপ করে দিয়ে
চালায় আমার মত।
কবিতায় যারা ভয় পেয়ে যায়
চারণ কবিকে দেখে
মানুষ হওয়ার পথে ধাওয়া
ভেতরে শূন্য রেখে।
সুর যে আমায় নিয়ে আসে মনে
চিত্রকল্প রাশি
গান কবিতায় যুগলবন্দী
ভিন্নমতেও হাসি।
খবরটি শেয়ার করুন