ছবি: সংগৃহীত
শ্রাবণ্য তৌহিদা দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন উপস্থাপনার মাধ্যমে। সেলিব্রেটি শো, খেলাধুলা বিষয়ক শো, রিয়েলিটি শো উপস্থাপনা ছাড়াও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
বর্তমানে তার উপস্থাপনায় দুটি অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে। একটি জিটিভির ক্রিকেট ম্যানিয়া এবং অপরটি চ্যানেল টোয়েনটি ফোরের ফ্যান ক্লাব। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনে যুক্ত আছেন ১০ বছর ধরে। মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বিনোদন জগতে কাজ করার অভিজ্ঞতাসহ নানা বিষয়ে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন শ্রাবণ্য তৌহিদা।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা কতটা উপভোগ করেন?
ভীষণ উপভোগ করি উপস্থাপনা। অনেকে মনে করে শুধু চেহারা সুন্দর হলেই উপস্থাপক হতে পারে। কিন্তু এটা ঠিক না। উপস্থাপক হতে হলে আইকিউ অনেক শার্প থাকতে হয়, প্রচুর সাধারণ জ্ঞান থাকতে হয়, উপস্থিত বুদ্ধি থাকতে হয়।
রোনালদিনহোকে সামনা-সামনি দেখার স্বপ্ন ছিল, সেটা পূরণ হয়েছে। তার সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে চেয়েছি, কিন্তু তিনি পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলেছেন। পর্তুগিজ ভাষায় রোনালদিনহোকে বলেছি, ভীষণ ভালোবাসি। তিনি উত্তরও দিয়েছেন। তাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। প্রথম দেখায় ভালো লেগেছে, অনেক ঠাণ্ডা প্রকৃতির মানুষ মনে হয়েছে।
তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ম্যরাডোনা নাকি পেলে, কাকে বেশি পছন্দ? তিনি খুব ভেবে উত্তর দিয়েছেন, দুজনই পছন্দের। দেশ-বিদেশের বহু তারকা খেলোয়াড়ের সঙ্গে অনুষ্ঠান করেছেন।
কখনো কারো প্রেমে পড়েনি?
খেলোয়াড়রা আমার প্রেমে পড়েছেন, আমি পড়িনি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাদেরকে সম্মান করি। সাকিব আল হাসানের অনেক বড় ভক্ত আমি। কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসেবে মাশরাফিকে পছন্দ।
আরো পড়ুন : বলিউড নায়িকা সোনাল চৌহানের সঙ্গে শাকিব খানের নতুন ছবি
আপনার জীবনের স্মরণীয় উপস্থাপনা কোনটা?
এমন অনেক আছে। বিপিএল উপস্থাপনা; আন্দ্রে রাসেল, সাকিব আল হাসান, মাশরাফি, তামিমের সাক্ষাৎকার নেওয়া—অনেক স্মরণীয় ঘটনা আছে। বাংলাদেশ সিরিজ উপস্থাপনা করেছি, সেখানেও অনেক স্মরণীয় ঘটনা আছে।
বিশেষ দিবসের নাটকে অভিনয় করি—ঈদে কিংবা ভালোবাসা দিবসে। গত ঈদে বান্নার পরিচালনায় দুটি নাটক করেছিলাম। খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। নাটকের প্রস্তাব আসে অনেক, কিন্তু সময় করতে পারি না। ওয়েব ফিল্ম নিয়ে কথা হচ্ছে।
এমন কেউ আছেন, যার উপস্থাপনা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন?
আব্দুন নূর তুষারের উপস্থাপনা দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। কারণ, তিনিও ডাক্তার, আমিও ডাক্তার। এরপর আছেন মুনমুন আপা।
চিকিৎসক জীবন কেমন কাটছে?
আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। সেবা দেওয়ার পাশাপাশি পড়াতেও হয়। আমার শিক্ষার্থীরা আমাকে খুব পছন্দ করে। রোগীরাও আমার ব্যাপারে পজিটিভ। সেবাটা আমার কাছে অনেক বড় কিছু।
এস/ আই.কে.জে/