ছবি: সংগৃহীত
উপকূলরক্ষীদের সক্ষমতা এবং সামরিক বাহিনীর সাথে সহযোগিতা জোরদার সহ শক্তিশালী সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য নতুন পাঁচ বছরের সমুদ্র নীতি গ্রহণ করেছে জাপান।
নতুন নীতির আলোকে জাপানকে তার নজরদারি ক্ষমতা জোরদার করতে স্বায়ত্তশাসিত ডুবো যানবাহন এবং দূরবর্তী চালিত রোবটগুলোর বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে হবে।
চীনা জাহাজের বারবার জাপানের আঞ্চলিক জলসীমানায় অনুপ্রবেশ, চীন ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বৃদ্ধি এবং উত্তর কোরিয়ার বারবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ফলে এ নীতি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জাপান।
কিশিদা জানান, জাপানের আশেপাশের সামুদ্রিক পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ। তাছাড়া কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য সামুদ্রিক সম্পদের আরও ভালো ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
নতুন সমুদ্র নীতি জাপানের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত ডিসেম্বরে কিশিদা সরকার জাপানের আত্মরক্ষা নীতি থেকে সরে দাঁড়ান।
আরো পড়ুন: গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সিরিয়া যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
নতুন নীতির আলোকে আগামী পাঁচ বছরে জাপানের সামরিক শক্তি আরও শক্তিশালী হবে এবং প্রতিরক্ষা বাজেট দ্বিগুণ হবে।
চীনা রাষ্ট্রদূত উ জিয়াংহাও জাপানকে তাইওয়ানের বিষয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি তাইওয়ানের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার জন্য বৈদেশিক শক্তির হস্তক্ষেপকে দায়ী করেন।
জাপানের উপকূলরক্ষীরা সামরিক কাজে ব্যবহৃত না হয়ে, সমুদ্রে বেসামরিক পুলিশিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয়। সমুদ্রের তলদেশে জরিপ এবং সমুদ্রশক্তি লাভের জন্য সমুদ্রের তলদেশের সংস্থানগুলো ব্যবহার করার বিষয়ে আরও যত্নবান হতে হবে জাপানকে।
চীনা জাহাজের জাপানের সীমানায় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশ নিয়ে বারবারই প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপান।
এমএইচডি/ আইকেজে
খবরটি শেয়ার করুন