বুশরা আফরিন।
তাপ নিয়ন্ত্রণে চিফ হিট অফিসার বা প্রধান তাপ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি)। ঢাকার প্রথম চিফ হিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বুশরা আফরিন।
বুশরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। কানাডায় গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে পড়াশোন করেছেন তিনি। বাংলাদেশে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শক্তি ফাউন্ডেশনে একজন নির্বাহী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।
ঢাকার তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টায় যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের (আর্শট-রক) সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
ওই চুক্তির আওতায় দুই বছরে ঢাকায় ২ লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
চিফ হিট অফিসারের কাজ কী?
একজন চিফ হিট অফিসারের দায়িত্ব শহর বা সংস্থার ওপর নির্ভর করে। একজন চিফ হিট অফিসের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে-শহরের তাপ হ্রাস করার জন্য কৌশল গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা। এর মধ্যে রয়েছে শহরের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ এমন এলাকাগুলো চিহ্নিত করা। এই এলাকাগুলোর সবুজ অবকাঠামো যেমন পার্ক, গাছ, ছাদ ও ফুটপাত ব্যবহার ও সংস্কার করে ওইখানকার তাপ কমানো।
আরো পড়ুন: ঢাকাকে শীতল করতে দুই লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা
এছাড়া শহরে যারা বয়স্ক, ছোট শিশু আছে তাদের চরম তাপের স্বাস্থ্যগত প্রভাব থেকে রক্ষা করার পরিকল্পনা তৈরি করেন চিফ হিট অফিসার। একই সঙ্গে একজন চিফ হিট অফিসার জনসাধারণের মাঝে প্রচণ্ড গরমের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং অতিরিক্ত তাপের সময় কীভাবে নিরাপদ থাকতে হয় সে সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান ও প্রচারণা চালাবেন।
যেহেতু নগরের তাপ নিয়ন্ত্রণে একজন চিফ হিট অফিসার কাজ করে থাকেন, তাই নগর ব্যবস্থাপনার অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করেন। সামগ্রিকভাবে একজন প্রধান তাপ কর্মকর্তার লক্ষ্য হলো জনস্বাস্থ্য, অবকাঠামো এবং পরিবেশের ওপর তাপের নেতিবাচক প্রভাবগুলো হ্রাস করা এবং পরিবর্তনশীল জলবায়ুর চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকা যায় এমন কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
বুশরা আফরিন গণমাধ্যমকে বললেন, চিফ হিট অফিসার হিসেবে শুরুতে তিনি মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন। আমরা হিট মেসেজিং নিয়ে কাজ করব, সচেতন করব। কারণ সচেতনতা প্রতিরোধের প্রথম ধাপ। বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী নারী এবং যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষ, তারা যেন নিরাপদে থাকে। এগুলো আমাদের এখানে মানুষ জানে না।
তিনি আরও বলেন, আর্শক-রকের সঙ্গে কাজ করার মূল কারণ, এ সংস্থা বহু বছর ধরে নগরে তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে কাজ করছে। সৃষ্ট সমস্যাগুলোর বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি সমাধান খুঁজে বের করে তার বাস্তবায়নে জোর দেয় তারা।
এমএইচডি/
খবরটি শেয়ার করুন