শনিবার, ১১ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম *** ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম এখন তুরস্কে *** স্বামী নিখোঁজের পর দেবরের সঙ্গে বিয়ে, পরের দিনই হাজির স্বামী! *** সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসব স্থগিত নিয়ে যা জানাল চারুকলা অনুষদ *** গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘কার্যকর’, নিজ এলাকায় ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা, সরছেন ইসরায়েলি সেনারা *** ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় যা বলছে হোয়াইট হাউস *** তালেবানের সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস চালুর ঘোষণা দিল্লির *** গুমের ঘটনায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়বিচারের পথে অগ্রগতি: এইচআরডব্লিউ *** শেখ হাসিনাসহ দুই ডজন নেতা ভোটে অযোগ্য হচ্ছেন *** ইসরায়েলি কারাগার থেকে ইস্তাম্বুলের পথে শহিদুল আলম

পিতৃত্বকালীন ছুটি কেন জরুরি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ২১শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

সন্তান জন্মের পর মায়ের সাথে সন্তানের একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি হয়। ঠিক তেমনি পিতৃত্বকালীন ছুটি বাবার সঙ্গে নবজাতকের একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে সাহায্য করে। সন্তানের জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহে সংযোগ স্থাপনের জন্য এই সময়ে বাবার উপস্থিতি জরুরি। বাবা নবজাতকের যত্ন নিলে, কোয়ালিটি টাইম কাটালে এবং শিশুর প্রথম সময়টাতে কাছাকাছি থাকলে তা দু’জনের বন্ধন আরও দৃঢ় করে। পিতৃত্বকালীন ছুটির সময় তৈরি হওয়া বন্ধন দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

১. সন্তানের প্রতি দ্বিগুণ ভালোবাসা

প্রসব পরবর্তী সময়ে নতুন মাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করার জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে থাকলে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়া, কাজের চাপ কমানো এবং সন্তানের মাকে মানসিক সমর্থন দেওয়া সহজ হয়। সন্তানের জন্ম এবং এর সঙ্গে আসা সমস্ত নতুন দায়িত্ব দু’জনকেই পালন করতে হবে। দু’জনে ভাগাভাগি করে দায়িত্ব পালন করলে অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রেও সমতা বজায় রাখবে। সেইসঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কও ভালো রাখবে।

২. জেন্ডার ইকুইলিটি

কোনো অফিস কোনো কর্মীকে পিতৃত্বকালীন ছুটি দিলে তা আরও অনেকের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকে মনে করেন যে সন্তানের লালন-পালনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব কেবল মায়েরই। এই ভুল ধারণা ভেঙে দিতে পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রচলন জরুরি। পুরুষদের পিতৃত্বকালীন ছুটি এ ধরনের বৈষম্য দূর করতে সাহায্য করে। সন্তানের যত্ন এবং পরিবারের দায়িত্বে বাবারও সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

আরো পড়ুন : শীতে সুস্থ থাকতে খাবেন যে পানীয়

৩. মানিয়ে নিতে সাহায্য করে

পিতৃত্বকালীন ছুটির সময়টা নতুন বাবাকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এসময় নানা নতুন অভিজ্ঞতা লাভ হয়। সেটি হতে পারে রাত ২টার সময় শিশুর কান্না থামানো কিংবা হুটহাট তার ন্যাপি বদলানো। এমন অনেক কাজই করতে হবে, যেগুলো একেবারেই নতুন। অফিসের কাজ থেকে ছুটি পেলে ভালো বাবা হওয়ার প্রচেষ্টার জন্য তারা কিছুটা সময় পাবে। সন্তানের যত্নে যত বেশি মনোযোগী হবে, তত বেশি অভিভাবকত্বের ক্ষমতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী বোধ করবে।

৪. সন্তানের মায়ের উপকার করবে

সন্তানের যত্নে বাবা অংশ নিলে তা একজন মাকে কিছুটা হলেও নির্ভার রাখে। দুশ্চিন্তা দূর হওয়ার পাশাপাশি নির্ভরতাও চলে আসে। মা এবং বাবার মধ্যে কাজের সুষম বণ্টন থাকলে তা মায়ের পেশাগত দায়িত্বে অগ্রগতির বিষয়েও আস্থা জাগিয়ে তোলে। যখন মা-বাবা উভয়ই শিশুর যত্নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকে, তখন সে আরও বেশি হাসিখুশিভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

এস/ আই.কে.জে



পিতৃত্বকালীন ছুটি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250