রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাহাত ফতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ *** সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে যেন ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে : ফখরুল *** বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলবে : পরিবেশ উপদেষ্টা *** ‘মহাকালের পাতায় হাসান আরিফের কৃত্তি লেখা থাকবে’ *** দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন *** ওয়েজ বোর্ড সিস্টেম বাতিল করে সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন চালু করা উচিত : শফিকুল আলম *** রেমিট্যান্সে সুখবর : ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার *** রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** সন্ধ্যার মধ্যেই ৩ বিভাগে নামবে বৃষ্টি!

ময়মনসিংহের গ্রাম-গঞ্জে চলছে নৌকা তৈরির ধুম

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৯ অপরাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

আষাঢ়ের বৃষ্টিতে নদীতে ঢল নামে। খাল-বিল, নদী-নালা পানিতে টইটম্বুর থাকে। এবার আষাঢ় যায় যায় কিন্তু ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় নেই সেই চিরচেনা রূপ। তবু গ্রাম-গঞ্জে চলছে নৌকা তৈরির ধুম। ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকা তৈরির কারিগররা।

হালুয়াঘাট নিচু এলাকা হওয়ায় উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম ও ইউনিয়ন বর্ষা মৌসুমের পানিতে তলিয়ে থাকতো। তাই এখানে মানুষের চলাচলের প্রধান বাহনও ছিল নৌকা। বহু আগে থেকে এ অঞ্চলের লোকরা নৌকা তৈরির কাজ করে আসছেন। এ অঞ্চলে তৈরি নৌকার কদরও ছিল দেশজুড়ে। তাই আশপাশের জেলা ও উপজেলার লোকরা নৌকা কেনার জন্য চলে আসতেন হালুয়াঘাটে। এখনো অনেকে বাপ-দাদার পেশাকে টিকিয়ে রেখেছেন।

বর্ষা মৌসুমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়নের দাড়িয়াকান্দা গ্রামে চলে নৌকা তৈরির কাজ। বছরের আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস নৌকা তৈরির কাজ করলেও বাকি ১০ মাস করতে হয় শ্রমিকের কাজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই গ্রামের খোলা মাঠে কারিগররা নৌকা তৈরির কাজ করছেন। বেশ কয়েকজন মিলে এ কাজ করছেন। কেউ কেউ কাঠ কেটে দিচ্ছেন, আবার কেউ জোড়া দিচ্ছেন, কেউবা আবার নৌকার তলা তৈরির কাজ করছেন।

কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নৌকা তৈরিতে খুব কম দামি কাঠ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে পানিতে থাকলেও পচে না এমন কাঠ। আকার ভেদে নৌকার দাম হয়। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে নৌকা বিক্রি করতে হচ্ছে।

খাইরুল ইসলাম নামে নৌকার এক কারিগর সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা হামিদ মিস্ত্রি, তিনিও নৌকা তৈরির কাজ করতেন। আমি ১৫ বছর যাবত এ কাজের সাথে জড়িত। একজন তিন দিনে একটি নৌকা করতে পারি। মৌসুমে ২০-২৫টি নৌকা তৈরি সম্ভব হয়। এসব নৌকা আকার ও কাঠ ভেদে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করি।

তিনি আরও বলেন, নিচু এলাকা হওয়ায় এ অঞ্চলে নৌকার অনেক চাহিদা। তবে, এবার সময় মত পানি না হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় চাহিদা অনেক কম। যারা কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধান, পাট, সবজি বাজারে আনা নেওয়া করার জন্য নৌকা প্রয়োজন হয়। এছাড়া মাছ ধরার জন্য জেলেরাও নৌকা কিনেন। বর্ষা মৌসুমে নৌকা তৈরির কাজ করি। আর অন্য মৌসুমে শ্রমিকের কাজ করি।

নৌকা কিনতে আসা হৃদয় বলেন, এখন নৌকার দাম বেশি। ৮ হাজার টাকার নিচে কোন নৌকা নাই। নৌকা ছাড়া আমাদের চলে না। কারণ, আমরা নিচু এলাকার মানুষ, একটি ফিশারি আছে, নৌকা ছাড়া ফিশারিতে যেতে পারি না। তাই, নৌকা কেনা আমার জন্য জরুরি। ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি নৌকা কিনেছি।

আরো পড়ুন:বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো মুক্তাঞ্চল সাহিত্য উৎসব

বিলডোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবজাল হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, বর্ষায় দাড়িয়াকান্দাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নৌকা তৈরির হয়। আমাদের এখানে নৌকার চাহিদাও অনেক বেশি। আশপাশের উপজেলা ও জেলা থেকে এখানে অনেকে নৌকা কিনতে আসেন। নৌকা তৈরিতে কারিগরদের কোনো সহায়তার প্রয়োজন হলে আমরা তাদের পাশে থাকবো।

এম/


ময়মনসিংহ নৌকা তৈরি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন