রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে বিএনপির কমিটি *** ‘প্রেসিডেন্ট লুলা যখন ইচ্ছা আমাকে ফোন করতে পারেন’, ব্রাজিলকে নিয়ে সুরবদল ট্রাম্পের *** ঐক্য গড়তে রাজবন্দীদের মুক্তি দিচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট *** প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান: আসিফ নজরুল *** ৫ই আগস্ট সামনে রেখে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী *** কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে উড়োজাহাজের সঙ্গে কুকুরের ধাক্কা... *** ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ *** অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর শেখ হাসিনা সরকারের ‘ছায়া’ দেখছেন আনু মুহাম্মদ *** পাকিস্তানের সামরিক বহরে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, ঘুরে দেখলেন আসিম মুনির *** শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূস একটি কথাও বলেননি: মেজর (অব.) হাফিজ

১৮ ডিসেম্বরের আগে প্রচারণা চালানোর সুযোগ নেই: ইসি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, ২রা ডিসেম্বর ২০২৩

#

ফাইল ছবি

নির্বাচনী আচারণবিধি প্রতিপালনে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে আছে জানিয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার নির্বাচনী প্রচারের সময় আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত এই সময়ের আগে কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারণারও সুযোগ নেই।

শনিবার (২রা ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচল বিধিমালা, ২০০৮ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ১২নং বিধিতে ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রার্থীর দ্বারা যা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ।

বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, কেউ কেউ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টকশোতে বা পত্রপত্রিকার মন্তব্য করছেন নির্বাচন কমিশন আচরণ বিধিমালার প্রয়োগ বিষয়ে নির্লিপ্ত। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের উপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে; যা মোটেই কাম্য নয়। এ কারণে আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরার জন্য নিম্নরূপ বিবৃতি প্রকাশ করা হলো।

এতে বলা হয়- (ক) জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারণা বিষয়ে আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ বিধিমালা রয়েছে। উক্ত বিধিমালার ৫নং বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিধিমালার ৬ থেকে ১৪নং বিধিতে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। প্রার্থী দলের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন। বিধিমালার ১২নং বিধিতে একুশ দিন পূর্বের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ২১ দিনের অধিক সময় পাবেন না।

আরা পড়ুন: মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই ওসি-ইউএনওদের বদলি: ইসি

(খ) রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণ বিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ হবে রিটার্নিং অফিসার বাছাই, আপিলের সিদ্ধান্ত, ইত্যাদি সম্পন্ন করে কোনো একটি নির্বাচনি এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন উক্ত নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীদের সকলেই সমভাবে এক একজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে। আচরণ প্রতিপালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ১২নং বিধিতে ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রার্থীর দ্বারা যা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুযার সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর তারিখের পূর্বে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে তৎপূর্বে কোনো নির্বাচনি এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনি প্রচারণারও সুযোগ নেই।

আরো পড়ুন: বিধিমালা প্রয়োগে নির্লিপ্ততা: বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানালো ইসি

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, জমা হওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলছে গতকাল শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা যাচাই-বাছাই করছেন। যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় থাকবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের।

এছাড়া প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এরপর প্রার্থীরা নিজেদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সবশেষ আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এসকে/ 

নির্বাচন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রচারণা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন