ফাইল ছবি
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে। তিনি যদি সুস্থ থাকেন, তাহলে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেবেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ রোববার (১৯শে অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘জাতি গভীর শঙ্কায় রয়েছে’ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এত বড় অগ্নিকাণ্ড কীভাবে সম্ভব? ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে রাখে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ—এটা কি কেবল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, নাকি এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র রয়েছে?'
তিনি বলেন, 'আজকেও নাকি চট্টগ্রামে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। একের পর এক এই আগুন লাগার ঘটনা কেবল কাকতালীয় নয়। এগুলো জাতিকে ভাবিয়ে তুলছে। এটি কি নাশকতার অংশ নয়? দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য একটি মহল সচেষ্ট। ভারত সে চেষ্টাকে বিভিন্ন সময়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে এসেছে।'
তার দাবি, 'ভারত চায় না, বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় থাকুক, স্থিতিশীল সরকার আসুক। তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এটি তারা কখনো প্রমাণ করতে পারেনি। তারা বরাবরই শেখ হাসিনার মতো অবৈধ সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো বড় রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। অথচ ভারতের কূটনীতিকেরা এরশাদকে সেই নির্বাচনে অংশ নিতে কনভিন্স (রাজি) করাতে এসেছিলেন। এটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।'
তিনি বলেন, 'সরকারের নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। পরপর আগুন লাগার এ ঘটনাগুলো কি শুধুই দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত কোনো ষড়যন্ত্র—তা খতিয়ে দেখা দরকার।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডেমোক্রেসির জায়গায় যদি মবোক্রেসি হয়, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।
খবরটি শেয়ার করুন