সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ২৯শে ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া *** ২০শে জানুয়ারির মধ্যে সব পাঠ্যবই সরবরাহের নির্দেশ *** মুম্বাইয়ে অরিজিতের কনসার্টের টিকিটের মূল্য লাখ টাকা *** তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাহাত ফতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ *** সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে যেন ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে : ফখরুল *** বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলবে : পরিবেশ উপদেষ্টা *** ‘মহাকালের পাতায় হাসান আরিফের কৃত্তি লেখা থাকবে’ *** দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন *** ওয়েজ বোর্ড সিস্টেম বাতিল করে সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন চালু করা উচিত : শফিকুল আলম

৩৭০ ধারা বাতিল জম্মু-কাশ্মিরের জন্য কতোটা স্বস্তিদায়ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, ৫ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

৩৭০ ধারা বাতিলের চার বছর পর এসে কাশ্মির বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, মোহাম্মদ সাঈদ মালিক জানান বর্তমানে কাশ্মিরের পরিবেশ অধিক শান্তিপূর্ণ। 

কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু-কাশ্মিরকে দুইটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এ সিদ্ধান্তের বৈধতার উপর প্রশ্ন তুলে সুপ্রীম কোর্টে পিটিশন জারি করা হয়। কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোর্ট এ সম্পর্কিত রায় দিতে পারে নি।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মিরকে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। 

এর ফলে ভারতের অনেক রাজনৈতিক দল দুই দলে বিভক্ত হয়ে যায়। এক দল এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেও অন্য দল এর তীব্র বিরোধিতা করে। 

আগাম বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীরবতা অবশ্য বিবেচনাধীন। 

ছয় বছরের দীর্ঘ সময় ধরে চলমান রাজনৈতিক ক্ষমতা বর্তমানে ক্রমহ্রাসমান। এর প্রধান কারণ হলো দক্ষতার সাথে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য শাসন করলেও বৈধ প্রতিনিধির অভাব অপূরণীয়। 

তবে পূর্বের তুলনায় রাজ্যে শান্তি স্থাপন এবং জম্মু-কাশ্মিরের নাগরিকদের একটি সুরক্ষিত জীবন প্রদান করা তা কেন্দ্রীয় সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন।

দীর্ঘকাল পর জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দারা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন এবং তাদের দৈনন্দিন জীবন বেশ ভালোভাবে চালাতে পারছেন।

তবে জম্মু-কাশ্মির ছাড়াও বিচ্ছিন্ন ইউটি লাদাখ অঞ্চলে কেন্দ্র সরকারের ক্ষমতা হ্রাস করার একটি প্রক্রিয়া চলছে।

বর্তমান পরিস্থিতি এনসি, পিডিপি এবং কংগ্রেসের মতো নৃশংসতাবাদে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যেও দারুণ কঠিন হবে।

জম্মু ও কাশ্মিরের নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে।

এই প্রক্রিয়া বিজেপির আত্মবিশ্বাসের ঝলকও দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক, সাংবিধানিক এবং নির্বাচনী প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজেপি দারুণ আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দিচ্ছে।

গত বছর বিধানসভা এবং সংসদীয় নির্বাচনের সময় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতাগুলো পরিলক্ষিত করে এবার কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়গুলো এড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু-কাশ্মির ক্ষমতা লাভের ইচ্ছা কেন্দ্রীয় সরকারের বহুদিনের।

আরো পড়ুন: ৩৭০ ধারা বাতিলের উপকার পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো

কয়দিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মির বিধানসভায় তিনটি মনোনীত বিভাগের আসন তৈরি করতে সংসদে একটি বিল উত্থাপন করে। এছাড়াও সংরক্ষিত বিভাগের অধীনে আগের চেয়ে বেশি আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই, গত পাঁচ বছরে এনসি, পিডিপি এবং কংগ্রেস ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশের নির্বাচনে তাদের উপস্থিতি ছিল আশ্বাসদায়ক। 

মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখেই ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে জম্মু-কাশ্মিরের শান্তি আনয়নের বার্তা আরো ভালোভাবে সামনে আসছে এখন। কেন্দ্রীয় সরকার এ ধারা বাতিলকে নানাভাবে উদযাপন করছে। শ্রীনগরে এ ধারা বাতিল উদযাপন উপলক্ষে বিশাল বিলবোর্ড স্থাপিত হয়েছে।

এম এইচ ডি/ আইকেজে 

জম্মু-কাশ্মির ৩৭০ ধারা বাতিল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন