ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চে গণফোরামের দুজন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও তারা তাতে স্বাক্ষর করেননি। দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝির কারণে’ তারা স্বাক্ষর করেননি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে পরে তারা সনদে স্বাক্ষর করবেন।
গত মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যে উল্লেখ ছিল, সংবিধানের ১৫০ (২) অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ৫ম (বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ), ৬ষ্ঠ (বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা) এবং ৭ম (স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র) তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না।
গণফোরামের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, ৭ম তফসিল বাদ দিলে সনদে স্বাক্ষর করবে না তারা।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবির মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ই অক্টোবর) ৭ম তফসিল বাদ দেওয়ার প্রস্তাব থেকে সরে আসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর দলগুলোর কাছে দেওয়া চূড়ান্ত জুলাই সনদে সংবিধানের ১৫০ (২) অনুচ্ছেদের ৭ম তফসিলের উল্লেখ থাকতে দেখা যায়।
আজ শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্বাক্ষর থেকে বিরত ছিলাম। কারণ, আমরা বলেছিলাম ১৫০ (২) অনুচ্ছেদের ৭ম তফসিল তথা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ দেওয়া যাবে না। একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। কারণ, আমরা প্রথমে (স্বাক্ষরের আগে) চূড়ান্ত (জুলাই সনদ) কপিটি পাইনি। অনুষ্ঠান শেষে সেটি সরবরাহ করা হয়েছে। আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এখন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আজকে আমরা বিরত ছিলাম।’
খবরটি শেয়ার করুন