ছবি: সংগৃহীত
নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভেনেজুয়েলায় অভিযানের নতুন পর্ব শুরু করতে প্রস্তুত বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন চারজন মার্কিন কর্মকর্তা। তবে অভিযানের সঠিক সময় বা পরিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির সংবেদনশীলতার কারণে মার্কিন সূত্রগুলো নাম প্রকাশে রাজি হয়নি।
হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে ‘আমেরিকা শক্তির সব উপাদান' ব্যবহার করতে প্রস্তুত। মাদুরো অবশ্য অবৈধ মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দু’জন জানান, মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টিও আলোচনায় আছে। মাদুরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সরকারকে উত্খাত করতে চাইছে এবং ভেনেজুয়েলাবাসী যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করবে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরদার হয়েছে। জেরাল্ড আর. ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীসহ একাধিক যুদ্ধজাহাজ এলাকাটিতে অবস্থান করছে। এদিকে মার্কিন এফএএ ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা নিয়ে সতর্কতা জারি করলে কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ফ্লাইট বাতিল করে।
ওয়াশিংটন ‘কার্টেল দে লস সোলেস’কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে, যা মাদুরোর বিরুদ্ধে আরো পদক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করবে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এরই মধ্যে মার্কিন বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে হতাহতের ঘটনাকে বেআইনি হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনী দুর্বল হলেও, মার্কিন আক্রমণের ঘটনায় মাদুরো সরকার ‘দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ’ বা গেরিলা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানোর কৌশল বিবেচনা করছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ছোট সামরিক ইউনিটগুলো ২৮০টিরও বেশি স্থানে নাশকতা এবং অন্যান্য গেরিলা কৌশল অবলম্বন করে বিদেশী সৈন্যদের প্রতিহত করবে। মার্কিন সরকার মাদুরোর গ্রেফতারের জন্য পুরস্কারের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার করেছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন