ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত এক সপ্তাহে ১৩১ ট্রাকে করে ৪১১ মেট্রিক টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ২৬শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ২০ ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি, শনিবার ১৫ ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন ২০০ কেজি, রোববার ছয় ট্রাকে ১৯ মেট্রিক টন, সোমবার ৩০ ট্রাকে ৮৯ মেট্রিক টন, মঙ্গলবার ২৩ ট্রাকে ৬৯ মেট্রিক টন ৬৪০ কেজি, বৃহস্পতিবার ৩০ ট্রাকে ৯২ মেট্রিক টন এবং শনিবার (৫ই অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৩ ট্রাকে ৪২ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি এক হাজার ১৮০ টাকায়।
বেনাপোলে মাছ কিনতে আসা কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার বেনাপোল মাছ বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই আকারের মাছ ৬০০ টাকা কমে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। তাহলে আমাদের দেশের মাছ আমাকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে কেন?’
কম দামে রপ্তানির বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তবে এখন ইলিশের দেশীয় বাজার দরের সঙ্গে সংগতি রেখে দাম সমন্বয় হতে পারে।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৩ ট্রাকে ৪২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হলো ৪১১ মেট্রিক টন ৩০০ কেজি।’
প্রসঙ্গত, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন