প্রতীকী ছবি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে এক যুবককে বিবস্ত্র করে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে পেটানো হয়েছে এক গৃহবধূকেও। এ–সংক্রান্ত দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভাইরাল)। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক ও গৃহবধূকে ঘরের বারান্দায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫শে সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত এক ব্যক্তিকে ঘরের আলমারির নিচের দিকে থাকা বড় আকারের ড্রয়ারের ভেতর থেকে কয়েকজন টেনে বের করছেন।
তাকে উপস্থিত লোকজন ঘরের মেঝেতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি ও লাথি মারছেন এবং বেধড়ক পেটাচ্ছেন। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। মারধর করা হচ্ছিল গৃহবধূকে। তিনি সবার কাছে মাফ চাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তিকে ঘরের বিছানায় শুইয়ে রাখা হয়।
কিছুক্ষণ পর তার গায়ে কম্বল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। তবে বয়স্ক এক ব্যক্তি ও এক নারী এসে ওই ব্যক্তিকে না মারার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। তিনি ওই যুবককে একটি গামছা পরিয়ে পাশের কক্ষে নিয়ে যান। একজন আরেকজনকে ঘটনাটি ভালোভাবে ভিডিও করতে বলার শব্দও পাওয়া যায়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক ও গৃহবধূকে ঘরের বারান্দায় জানালার পাশে একত্রে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। বারান্দার গ্রিলের বাইরে থেকে এক ব্যক্তি টর্চের আলো জ্বালিয়ে রাখছেন এবং অন্যজন বেঁধে রাখার দৃশ্য ভিডিও করছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমেই তিনি বিষয়টি জেনেছেন। রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন দেওয়ান জানান, তিনি এ ধরনের একটি ঘটনার খবর পেয়েছেন। তাকে কোনো পক্ষই কিছু বলেনি।
মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ঘটনায় দোষী ব্যক্তিরা শাস্তি ও নিরপরাধেরা ন্যায়বিচার পাবেন।
খবরটি শেয়ার করুন