ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। রোববার (১১ই ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে মাওলানা সাদ কান্ধলবীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় কয়েক লাখ মুসল্লি অপেক্ষায় রয়েছেন। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হবে। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হবে।
রোববার ফজরের নামাজের পর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, কলেজ গেট, বিমানবন্দর, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকা ও গাজীপুরের আশপাশের জেলার মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের উপস্থিতি বাড়ছে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে শেষ হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৷ ইজতেমাতে এবারের পর্বে অংশ নিয়েছেন ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা৷ ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে আখেরি মোনাজাতের পূর্ব অবধি পৃথিবীর ৬৫ টি দেশ থেকে ৯ হাজার ২৩১ জন বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন৷ বিদেশি মেহমানদের সার্বক্ষনিক সহযোগিতার জন্য রয়েছে বাংলাদেশি জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) সাথীরা৷
আরো পড়ুন: বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পেলেন ওষুধি গাছ!
তথ্য অনুসারে দেখা গেছে, মেহমানদের মধ্যে আরবী ভাষাভাষীর ৭৩২ জন, ইংরেজি ভাষাভাষীর রয়েছেন ২ হাজার ৬১৫ জন, উর্দু ভাষাভাষীর ২ হাজার ৬৬২ জন। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ২ হাজার ৭৫৯ জন এবং অন্যান্য ভাষাভাষীর ২৭৩ জন ইজতেমায় অংশ নেন। এছাড়া ১৯০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে৷
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারের ইজতেমায় ভারত থেকে সর্বাধিক মেহমান এসেছেন৷ এবছর ভারত থেকে ৪ হাজার ৬০১ জন বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন৷ ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭৭৯ জন, মালয়েশিয়া থেকে ৫৮২ জন, নেপাল থেকে ৪৯০ জন, শ্রীলঙ্কা থেকে ৪৭৪ জন, থাইল্যান্ড থেকে ২৫৫ জন, আমেরিকা থেকে ৮৫ জনসহ বিশ্বের ৬৫ টি দেশের মোট ৯২৩১ জন বিদেশি মেহমান অংশ নেন৷
এদিকে বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ। বিদেশি মেহমানদের খিত্তাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিদেশি খিত্তার পাশে পুলিশ, র্যাবসহ সব বাহিনীর উপনিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত ও ভ্রমণের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এসি/