ছবি: সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলা ঘিরে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে পরীক্ষা করেছে। রাজধানী কারাকাসে হাজারো সমর্থকের উদ্দেশে এ কথা বলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। তিনি বলেন, দাসত্বের মাধ্যমে শান্তি পেতে চায় না ভেনেজুয়েলা। খবর এএফপির।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার ওপর চড়াও হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর ব্যাপক সমাবেশ ঘটিয়েছেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরের পর ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অনেক নৌযানে হামলা চালিয়েছে তারা। ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা এড়ানোর জন্য সতর্কবার্তাও দিয়েছেন ট্রাম্প।
অশান্ত এই পরিস্থিতির মধ্যে ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ চালাতে পারে, এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প মাদুরো সরকারের পতন চায় বলেও শোনা যাচ্ছে। সেদিকে ইঙ্গিত করে সমর্থকদের মাদুরো বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। তবে সেই শান্তির সঙ্গে সার্বভৌমত্ব, সমতা ও স্বাধীনতা থাকতে হবে। আমরা দাসত্বের মাধ্যমে শান্তি চাই না, ঔপনিবেশিকতার মাধ্যমে শান্তি চাই না।’
যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার মুখে নিজেদের সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা। মাদুরো বলেন, ‘আমাদের ওপর ২২ সপ্তাহ ধরে আগ্রাসন চালানো হয়েছে, একে মনস্তাত্ত্বিক সন্ত্রাসবাদ বলা চলে। এই ২২ সপ্তাহ ধরে তারা আমাদের পরীক্ষা করেছে। জন্মভূমির প্রতি ভেনেজুয়েলার জনগণ তাদের ভালোবাসা দেখিয়েছেন।’
মঙ্গলবার (২রা ডিসেম্বর) কারাকাসে মাদুরোর সমর্থনে হাজারো মানুষ একত্র হয়েছিলেন। তারা ভেনেজুয়েলার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকির’ প্রতিবাদ জানান। সমাবেশে অংশ নেওয়া ৬৮ বছর বয়সী নারসিকো তোরিয়েলবা বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।’ ৫৪ বছর বয়সী কিরিলো কাজোরলা বলেন, ‘আমরা কখনোই আমাদের দেশকে বিক্রি করব না।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে নিজ দেশ ত্যাগ করার সুযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটের রিপাবলিকান সদস্য মার্কওয়েন মুলিন। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘আমরা মাদুরোকে চলে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছি। বলেছি, তিনি রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশে চলে যেতে পারেন।’ যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় সেনা পাঠাবে না বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন