বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোয়েল পাখি পেলে বেকারত্ব ঘুচালেন পটুয়াখালীর নাহিদ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পাখি পালন করে সাফল্যের মুখ দেখছেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের নাহিদ ইসলাম। স্থানীয়ভাবে সৃষ্টি হয়েছে কোয়েল পাখির মাংস ও ডিমের বাজার।

নাহিদের খামারে বর্তমানে ৩ হাজার ২০০ কোয়েল পাখি আছে। এই ফার্ম দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক কোয়েল পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। 

জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম স্বপনের ছেলে নাহিদ ইসলাম ৩ বছর আগে শখের বশে ছোট খাচায় করে ১৬টি কোয়েল পাখি পালন শুরু করেন। নানা সংকটেও হাল না ছেড়ে পাখির ডিম উৎপাদন ও পালনে মনোনিবেশ করেন। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা ভালোভাবে না নিলেও এখন দুটি শেডে নাহিদের খামারে ৩ হাজার ২০০টি কোয়েল পালন করা হচ্ছে। প্রতিদিন এখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে আড়াই হাজরের বেশি ডিম।

প্রতিদনিই এ কোয়েল ফার্ম দেখতে স্থানীয়সহ অনেকেই আসেন। অনেকে নাহিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বাচ্চা সংগ্রহ করে কোয়েল পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। বর্তমানে খাওয়ার উপযোগী কোয়েল পাখি ৬০ টাকা পিস এবং প্রতি হালি ডিম ১২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

আরো পড়ুন: ৪০ কোটি টাকার প্রণোদনা পাচ্ছেন কৃষকরা

নাহিদ ইসলাম জানান, একটি কোয়েল বছরে প্রায় ২০০টি ডিম দেয়। প্রতিটি ডিমের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। ২ মাস বয়স থেকেই কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। এখন তিনি একটি বাচ্চা ফোটানোর মেশিন কিনে বাচ্চা উৎপাদন করারও পরিকল্পনা করেছেন।

জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার জানান, আমিষের চাহিদা মেটাতে কোয়েল পাখির মাংস বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি কোয়েল পাখির খাবার খরচ কম হওয়ায় এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। এ বিষয় জেলা প্রাণিসম্পদ সবাইকে সহযোগিতা করছে।

বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কোয়েল পাখির ডিম এবং মাংসের একটি চাহিদা আছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টেও কোয়েল পাখির মাংস বিক্রি হচ্ছে।

এসি/ আই.কে.জে/

কোয়েল পাখি

খবরটি শেয়ার করুন