ছবি: সংগৃহীত
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শড়াতলা গ্রামে গান-বাদ্যযন্ত্র বাজানো, হিজড়া ও হকার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) ওই গ্রামে যান। পরে ওই নোটিশ সরিয়ে ফেলা হয়।
গত প্রায় ছয়-সাতদিন ধরে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো এই নোটিশের ছবি ছড়িয়ে পড়লে এটি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বাদ্যযন্ত্র বাজালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ওই নোটিশে।
তবে স্থানীয় প্রশাসন সমালোচনার মুখে শুরু থেকেই বলছিল, শড়াতলা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো একশ টাকার নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের এই নোটিশ আইন বহির্ভূত।
গত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে লালন আখড়া ও মাজারে হামলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাধা বা বন্ধ করে দেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ইউএনও তারিক-উজ-জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আর ওই নোটিশে তার মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতে শড়াতলা গ্রামের মাতব্বররা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, এখন থেকে গ্রামে কেউ বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারবেন না; হকার ও হিজড়াদের গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্ত গ্রামের সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মাতব্বররা স্বাক্ষর করেন। ওই কাগজের ফটোকপি বাড়ির দেয়াল ও দোকানে দোকানে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়।
ওই কাগজে মোট ১৯ জনের স্বাক্ষর ছিল। এক নম্বরে ‘টিএনও’ লিখে মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো নাম লেখা হয়নি।
হা.শা./ আই.কে.জে