শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** শাহজালাল বিমানবন্দরে নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

রানি এলিজাবেথ কেন প্রত্যেক ইসরায়েলিকে ‘সন্ত্রাসী’ মনে করতেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:০৩ অপরাহ্ন, ১৭ই এপ্রিল ২০২৫

#

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমি। গত মঙ্গলবার (১৫ই এপ্রিল) সন্ধ্যায় লন্ডনে তারা গোপনে এ বৈঠক করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ডেভিড লেমির নিন্দা করেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা। 

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের এ অবস্থান নতুন নয়। প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও ইসরায়েলকে পছন্দ করতেন না। খবর মিডল ইস্ট আই’য়ের।

ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন নিজেই এ কথা স্বীকার করেছেন। বেশ কয়েক মাস আগে লন্ডনে হাইফা টেকনিয়ন ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রয়াত রানি এলিজাবেথ মনে করতেন, প্রত্যেক ইসরায়েলি ‘একজন সন্ত্রাসী, নয়তো সন্ত্রাসীর সন্তান’। শুধু তা–ই নয়, তিনি বাকিংহাম প্যালেসে কোনো ইসলায়েলি কর্মকর্তাকে ঢুকতেও দিতেন না।

ব্রিটেনের বাকিংহাম প্যালেসে রাজা বা রানিসহ রাজপরিবারের সদস্যরা থাকেন। বর্তমানে রাজা তৃতীয় চার্লস রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে এখানেই থাকেন। ইসরায়েলের সাবেক এ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘রানি এলিজাবেথ ও আমাদের (ইসরায়েল) মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা জটিল ছিল।’

রিভলিন ইসরায়েলের দশম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অন্যদিকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০২২ সালে মারা যান।

সাবেক এ ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি (রানি এলিজাবেথ) আন্তর্জাতিক কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া প্যালেসের (বাকিংহাম) ভেতরে কোনো ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে ঢুকতে দিতেন না। মাঝেমধ্যেই মনে করা হতো, রানি এলিজাবেথের সঙ্গে ইসরালের সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল।

রানি এলিজাবেথ ২০২২ সালের ৮ই সেপ্টেম্বরে মারা যান। ৭০ বছর সিংহাসনে থাকাকালে তিনি ১২০টির বেশি দেশ ঘুরেছেন। জীবদ্দশায় লাখ লাখ মাইল ভ্রমণ করলেও কখনো তিনি ইসরায়েলে যাননি।

রানির মৃত্যুর পর প্রভাবশালী কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইসরায়েল গ্রুপের অনারারি প্রেসিডেন্ট স্টুয়ার্ট পলক দাবি করেছিলেন, রাজপরিবারের সদস্যদের ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রানি এলিজাবেথের ইসরায়েল সফর না করা নিয়ে ২০১২ সালে লিখেছিলেন দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র হারেৎজের সাবেক এডিটর–ইন–চিফ ডেভিড লানদাও। তিনি লিখেছিলেন, যদি তিনি (রানি) ইহুদি রাষ্ট্র (ইসরায়েল) সফর করতে চাইতেন, বা তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ সেখানে যেতে চাইতেন, তাহলে তিনি জোর করে তা করতে পারতেন এবং নিজের ইচ্ছাপূরণ করতে পারতেন।

কারো কারো ধারণা, ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার আগে ১৯৪০-এর দশকে ফিলিস্তিনে ব্রিটেনের ম্যান্ডেটের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংস বিদ্রোহের কারণে ইসরায়েলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণে করতেন রানি এলিজাবেথ।

১৯৮৪ সালে জর্ডান সফর করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দখলকৃত পশ্চিম তীরের আকাশে উড়ে যেতে দেখে ‘কতটা ভীতিকর’ ছিলেন, তা নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি।

এইচ.এস/

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250