সোমবার, ২০শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তান দেখাল কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ডিল’ করতে হয় *** দেশে লাগাতার অগ্নিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে সরকারের কোর কমিটি *** নাহিদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল জামায়াত *** প্রথম আলোর আলোচনায় জুলাই সনদ *** আলোচনা-সমালোচনায় কবি-সাংবাদিক আলতাফ, সহকর্মীরা প্রতিবাদমুখর, সরব নারীনেত্রীরা *** জামায়াত সম্পর্কে কী এনসিপির নতুন উপলব্ধি *** খালেদা জিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যা জানাল বিএনপি *** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’

চার বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেও আর্থিক সংকটে অনিশ্চিত হাবীবের উচ্চশিক্ষা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, ১৫ই মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ছোট বেলায় বাবা হারানোর পর মায়ের হাড়ভাঙা খাটুনিতে পড়াশোনা করেছেন। লেখাপড়া চালাতে নিজেও করিয়েছেন টিউশনি। কখনো শ্রমিক আবার কখনো দিনমজুরের কাজ করে চালিয়েছেন প্রয়োজনীয় শিক্ষার খরচ। তবে অভাব-অনটন আর শত বিপত্তি তার স্বপ্ন পূরণ করা থেকে দূরে রাখতে পারেনি। নিজ যোগ্যতায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর গ্রামের আহসান হাবীব। বাড়ির পাশে জামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

তার এমন সাফল্যে যখন আশপাশের মানুষদের মাঝে প্রশংসার ফুলঝুরি, তখন দিনরাত পরিশ্রম করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকার জোগান দিতে পারছেন না তার মা সিদ্দিকা বেগম।

আরো পড়ুন: পা দিয়ে লিখেই জিপিএ-৫ পেলো অদম্য রাব্বি 

জানা গেছে, আহসান হাবীবের ৫ বছর বয়সেই তার বাবা মারা যান। এরপর থেকে মায়ের সঙ্গে ঠাঁই হয় নানা বাড়িতে। নানার অভাবের সংসারে পাননি তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা। তাদের বসতভিটা ছাড়া নেই কোনো আবাদি জমি। অন্যের জমিতে কাজ করেই দিন চলে তাদের। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন হাবীবের মা সিদ্দিকা বেগম। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেও মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করেন হাবীব।

আহসান হাবীবের মা সিদ্দিকা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে নিজে বাবা ও মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। নিজে পরিশ্রম করে সন্তানদের চাহিদা মেটাতে পারেননি। তবুও সন্তানের এমন অর্জনে খুশি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকার অভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

অদ্যম্য মেধাবী আহসান হাবীব গণমাধ্যমকে জানান, ছোট বেলা থেকে অভাবের সঙ্গে বড় হয়েছেন তিনি। মাঝেমধ্যে নিজে কাজ করলেও মায়ের পরিশ্রমের ফলে পড়াশোনা চালিয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও এখন ভর্তির টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি। তবে ভর্তির সুযোগ পেলে বিসিএস ক্যাডার হয়ে মায়ের স্বপ্ন পূরণের আশা তার।

হাবীবের প্রতিবেশী কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আহসান হাবীব অনেক মেধাবী একজন ছাত্র। বর্তমানে টাকার অভাবে সে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারছে না। তার মা তাকে মানুষের বাসায় কাজ করে পড়াশোনা করিয়েছে। এখন যদি সমাজের বিত্তবান কেউ কিংবা সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলেই তার স্বপ্ন পূরণ হবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা চাই না অর্থের অভাবে কারও পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ভর্তির বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে।

এইচআ/ আই.কে.জে/   

হাইকোর্ট কনডেম সেল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250