যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে আমদানি করা হয়েছে আরও দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম।
বুধবার (৩০শে অক্টোবর) সকালে ডিমের এ চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিমের এ চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
কাস্টমস হাউস সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে ২৯শে অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর কমাতে গত ১৭ই অক্টোবর শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আদেশটি বেনাপোল কাস্টমসে আসে গত ২০শে অক্টোবর। আদেশ পাওয়ার পর ২১শে অক্টোবর একটি চালানে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আনা হয়। এই ডিমের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের ম্যানেজার ইকরামুল হাসান সজিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নতুন করে নির্ধারিত শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি। গত ২১শে অক্টোবর ৫ শতাংশ শুল্কে ডিম খালাস শুরু হয়। প্রতি পিস ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্কায়ন করা হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতি পিস ডিমে মাত্র ৭৭ পয়সা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের এসব ডিম বাজারে ৯ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, কম শুল্কে গত ২১শে অক্টোবর দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং আজ আরও দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস খালাস দেওয়া হচ্ছে। এসব ডিমের চালান খালাসে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন