ছবি: সংগৃহীত
রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি টিলায় চাষ হচ্ছে হানিকুইন জাতের আনারস। ফলে পাহাড়ে বাড়ছে আগাম আনারস চাষ। এ আনারস রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও অনেক বেশি। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় হানিকুইন জাতের এ আনারসের চাষ বেশি হলেও জেলার অন্যান্য উপজেলার পাহাড়ি এলাকাতেও চাষ হচ্ছে হানিকুইন।
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকেই পাওয়া যায় হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। মৌসুমের আগে এ জাতের আনারস উৎপাদন হওয়াতে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান এবং আনারসের ভালো দাম পাচ্ছে। এতে পাহাড়ে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
বর্তমানে নানিয়ারচরে উৎপাদিত ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস সংগ্রহ করতে এখানে ছুটে আসছেন আনারসের পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারদের হাত হয়েই এ আনারস ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে।
নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার আনারস চাষী মো. মামুন মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, পাহাড়ি এলাকায় কৃষকরা আগাম জাতের হানিকুইন আনারসের ফল তুলতে শুরু করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে আমার বাগানে উৎপাদিত প্রতিটি আনারস পাইকারদের কাছে বাগানেই ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তিনি তার বাগান থেকে এবার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার হানিকুইন আনারস বিক্রি করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: বিনা চাষে সরিষা আবাদ শুরু করেছেন ময়মনসিংহের কৃষকরা
নানিয়ারচর কৃষি কর্মকর্তা তপু আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, আধুনিক পদ্ধতি ও পরিমিত হরমোন ব্যবহারে মৌসুমের আগেই মিলছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস। তিনি জানান, রাঙ্গামাটির অন্যান্য উপজেলার চেয়ে নানিয়ারচর উপজেলাতেই হানিকুইন জাতের আনারসের আগাম চাষ হচ্ছে। হানিকুইন চাষ অধিক লাভবান হওয়াতে পাহাড়ের ঢালুতে এ আনারস চাষ দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ বছর নানিয়ারচরে ১ হাজার ১ শত হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ করা হয়েছে। আশাকরি কৃষকরা এবারও ভালো ফলন পাবে।
হানিকুইন জাতের এ আনারস উৎপাদনের জন্য কৃষকরা কৃষিবিভাগের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করছেন এক ধরনের হরমোন। মৌসুমে আনারস চাষে যেখানে চাষীদের লোকসান গুনতে হতো, সেখানে মৌসুমের বাইরে আগাম আনারস চাষে বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন কৃষক।
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন