বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের

১লা জানুয়ারি পাঠ্যবই পাবে যেসব ক্লাসের শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:০৮ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবই প্রয়োজন প্রায় ৪০ কোটি ১৬ লাখ। সোমবার (৩০শে ডিসেম্বর) পর্যন্ত সরকার ছাপাতে পেরেছে মাত্র ৬ কোটির কিছু বেশি বই। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না। বই সংকটে বিশৃঙ্খলাও দেখা দিতে পারে।

পাঠ্যবই ছাপার কাজ শেষ না হওয়ায় ১লা জানুয়ারি কোন কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে, আর কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে না; তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় শিক্ষক-অভিভাবকরা।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ৭০ লটের বই ছাপা শেষ। সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে পুনঃটেন্ডার হওয়ায় বাকি ২৭ লটের বই এখনও ছাপা শেষ হয়নি। এ তিন শ্রেণির বাকি বইগুলো ছাপা শেষ করে পৌঁছে দিতে জানুয়ারি মাসের পুরোটা সময় লেগে যেতে পারে।

প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির অল্প কিছু বই ছাপা হয়েছে। বেশিরভাগ বই ছাপার কাজই এখনো শুরু হয়নি। সেক্ষেত্রে এ দুটি শ্রেণির খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী দুটি করে নতুন বই হাতে পেতে পারে। বাকি শিক্ষার্থীদের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। সব বই পৌঁছাতে এনসিটিবির পুরো জানুয়ারি মাস লেগে যেতে পারে।

মাধ্যমিকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির দেড় কোটির কিছু বেশি বই ছাপা হয়েছে, যার মধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় এক কোটি বই ছাপানো হয়েছে। সাধারণ প্রেস মালিকদের ছাপাখানায়ও ষষ্ঠ-সপ্তমের কিছু বই ছাপার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পাচ্ছে সাত কলেজ

সব মিলিয়ে ষষ্ঠ-সপ্তমের দুটি থেকে তিনটি করে বই কিছু উপজেলার স্কুলে যেতে পারে। তাছাড়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুই থেকে তিনটি করে বই কিছু উপজেলার শিক্ষার্থীরা হাতে পেতে পারে।

তবে অষ্টম ও নবম শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থী বছরের শুরুতে কোনো বই নাও পেতে পারে। বই হাতে পেতে তাদের পুরো জানুয়ারি মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে। অষ্টম-নবমের শিক্ষার্থীদের হাতে সব কয়টি বই পৌঁছে দিতে আরও দেড় থেকে দুইমাস সময় লাগতে পারে এনসিটিবির।

এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ৬৫৫টি বই সংশোধন-পরিমার্জন করতে হয়েছে। সব শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপি নতুন করে করা। তাছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে গল্প-গ্রাফিতি নির্বাচন করে বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে। এসব করতে বড় একটা সময় লেগে গেছে। আবার অন্যবার ৩০-৩২ কোটির মতো বই ছাপানো হয়। এবার বইয়ের সংখ্যা অনেক বেশি; প্রায় সোয়া ৪০ কোটি।

তিনি আরও বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখেন, জুন থেকে বইয়ের টেন্ডার, ক্রয় অনুমোদন, নেওয়ার কাজ শুরু হয়। আমরা তো দায়িত্ব নিয়েছি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। তারপর প্রথম থেকে আবার শুরু করতে হয়েছে। এ বাস্তবতাগুলোর দিকেও তাকাতে হবে। তারপরও আমরা জাতির স্বার্থে দিনরাত কাজ করছি। 

এসি/কেবি

পাঠ্যবই

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন