ছবি: সংগৃহীত
সেই রাতে সাইফের জামা ভিজে গিয়েছিল রক্তে। গোটা শরীরে ছয় বার কোপ মেরেছিল সন্ত্রাসীরা। চালক না থাকায় ঘটনার রাতে স্থানীয় এক অটোচালকই তাকে পৌঁছে দেন হাসপাতালে। চালকের নাম ভজন সিং রানা। উত্তরাখন্ডের মানুষ। মানবিকতার খাতিরে টাকা চাননি সেই অটোচালক। তবে সেদিনের 'ত্রাতা'কে ভুললেন না সইফ।
খানিক সুস্থ হতেই ডেকে নিলেন তাকে। জড়িয়ে ধরে জানালেন ধন্যবাদ। শুধু তাই নয়, তুলে দিলেন ৫০ হাজার টাকাও। হাজির ছিলেন শর্মিলা ঠাকুরও। তিনিও মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন ছেলের প্রাণ বাঁচানো সেই ব্যক্তিকে।
বহুদিন ধরেই মুম্বাইয়ের রাস্তায় অটো চালাচ্ছেন ভজন। বাকি দিনগুলোর মতো গত ১৬ই জানুয়ারি ভোররাতেও নিজের অটো নিয়ে বাড়ি ফিরলেন এই চালক।
এমন অবস্থায় নিজ বাড়ির দরজার সামনে বলিউডের নবাব সাইফ আলি খান রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। একেবারে দেবদূতের মতো সাইফকে উদ্ধার করে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান এই চালক।
আরও পড়ুন: নায়িকার মন রাখতে বরফের ওপর ডিগবাজি খেলেন জায়েদ খান
হাসপাতালে প্রায় পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পরে মঙ্গলবার জীবন যুদ্ধে জিতে বাড়ি ফিরলেন সাইফ। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, আপাতত ভালো আছেন অভিনেতা। তার অস্ত্রোপচার হয়েছে, কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।
তবে হাসপাতাল ছাড়ার আগে সাইফ দেখা করলেন ভজনের সঙ্গে। জড়িয়ে ধরলেন তার ত্রাতাকে। ছবি তুললেন ভজনের সঙ্গে। যেটাই এখন নতুন করে টক অফ দ্যা টাউন।
ভজন সিং রানা এক সাক্ষাৎকারে জানান, সেই রাতের অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানান, সে রাতে আচমকাই দেখতে পান বিপরীতের ফ্ল্যাট থেকে এক মহিলা তাকে ডাকছেন। ইউ-টার্ন করে গাড়ি নিয়ে গিয়েই দেখেন এ কী কাণ্ড! রক্তাক্ত অবস্থায় সাদা পাঞ্জাবি পরে সেখান থেকে বের হয়ে আসছেন এক ব্যক্তি। গোটা পোশাক লালে-লাল। কালবিলম্ব না করে সেই ব্যক্তিকে নিয়ে পাশেই লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। তার তৎপরতার কারণেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের হাত থেকে রক্ষা পান সাইফ।
ভজনের কথায়, ‘আমি জানতাম না উনি সাইফ আলি খান। শুধু এটাই মাথায় ঘুরছিল একজন অসুস্থ, তাকে নিয়ে যে করেই হোক হাসপাতালে যেতে হবে।’
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন